এ দেশের নানা সময়ের নানা ছবিতে, বিশেষ করে বলিউডে এই দৃশ্যের সঙ্গে আমাদের মোলাকাত হয়েছে বহুবার- কোনও উত্তেজিত মুহূর্তে, মূলত কথাকাটাকাটির মাঝে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন ছবির কোনও চরিত্র! এ ঘটনাকে এত দিন পর্যন্ত মেলোড্রামার তকমা দেওয়া হলেও এ বার একটু অন্য ভাবে ভাবার সময় বোধ হয় এসে গিয়েছে। কেন না, এ বার আর বাণিজ্যিক ছবি নয়, বরং রীতিমতো বিদেশ থেকে এসেছে সমীক্ষার হাতে-গরম রিপোর্ট! যা দাবি করছে যে যাঁরা কথায় কথায় রেগে যান বা একটুতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন, তাঁদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে অন্যদের তুলনায় অনেক গুণে বেশি। শুধু তাৎক্ষণিক উত্তেজনাই নয়, একই সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে চলা মানসিক অবসাদ এবং জীবনের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিও এই বিপদ ডেকে আনতে পারে!
খবর বলছে যে সম্প্রতি এ হেন সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছিল টেক্সাসের বেলার ইউনিভার্সিটির তরফে। এই সমীক্ষাটির প্রধান গবেষক তথা সিদ্ধান্তপত্রের লেখক অধ্যাপক আলেজান্দ্রা টায়রা এ বিষয়ে জানিয়েছেন যে তাঁরা রীতিমতো বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে ৯৬ জন অংশগ্রহণকারী নিয়ে সাত দিন অন্তর এ হেন সমীক্ষা পরিচালনা করেছেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী সমীক্ষা চলাকালীন প্রথমে অংশগ্রহণকারীদের একটি পাঁচ মিনিট দীর্ঘ বক্তৃতায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে বলা হয়। বিষয় হিসেবে তাঁদের সামনে তুলে ধরা হয় এমন কিছু ঘটনা যেখানে তাঁরা রয়েছেন দোষারোপের মুখে। যেমন, দোকান থেকে জিনিস চুরির মিথ্যা অভিযোগ, ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ ইত্যাদি!
এর পরের ধাপে এই ৯৬ জন অংশগ্রহণকারীকে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে দেওয়া হয়। মনস্তত্ত্বের উপরে ভিত্তি করা নির্বাচিত এই প্রশ্নগুলি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কতটা উত্তেজনাপ্রবণ তা বোঝার লক্ষ্যে সাজানো হয়েছিল। সমীক্ষার ভিত্তিতে টায়রা দেখেছেন যে এই সব সময়ে উত্তেজনার মুহূর্তে অ্যাড্রিনালিন রাশ অতিরিক্ত হয়, যা সরাসরি হৃদযন্ত্রে গিয়ে ধাক্কা মারে। অর্থাৎ এই পরিস্থিতি ঘন ঘন তৈরি হতে থাকলে হৃদরোগের আশঙ্কা আছে বইকি তাঁর বক্তব্যমাফিক!
পাশাপাশি টায়রা হৃদরোগের নেপথ্যে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অসংযত খাদ্যাভ্যাস, মদ ও ধূমপানের অভ্যাসের উল্লেখ করতেও ভোলেননি সমীক্ষায়!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cynicism, Heart, Heart Health