#নয়াদিল্লি: মনে পড়ে সঞ্জয় দত্তের 'জাদু কি ঝাপ্পি'? মুন্না ভাই এমবিবিএস ছবিতে মুন্না ভাই সকলকে 'জাদু কি ঝাপ্পি' দিতেন। আর তাতেই এক্কেবারে চাঙ্গা হয়ে যেত রোগীরা। আজকের দিনে আমাদের সকলের 'জাদু কি ঝাপ্পি' ভীষণ ভাবে দরকার। ভালবাসার যেরকম কোনও বিশেষ দিন হয় না। সেরকমই ভালবাসার মানুষকে জড়িয়ে ধরার কোনও সময় বা দিনক্ষণ ঠিক থাকে না। তবুও প্রতিবছর ২১ জানুয়ারি 'জাতীয় আলিঙ্গন দিবস' হিসেবে পালিত হয়।
বিশ্বায়নের যুগে ব্যস্ততার মধ্যেই ডুবে থাকে মানুষ। প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর সেভাবে সুযোগই পাওয়া যায় না। আলিঙ্গন তো আরও দূরের কথা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রিয়জনদের জড়িয়ে ধরুন, তাঁদের সঙ্গে বসে আড্ডা দিন, কথা বলুন। তাহলেই আপনি মানসিক শান্তি পাবেন। অনেক দুশ্চিন্তা থেকে সহজেই রেহাই মিলবে।
এই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের উদ্বেগ, অবসাদ, আশঙ্কা দিনের পর দিন যেখানে বেড়েই চলেছে সেখানে আরও বেশি করে আলিঙ্গনের প্রয়োজন। প্রিয় মানুষটা যাতে ভেঙে না পড়েন, তাঁকে আশ্বস্ত করুন। বুঝিয়ে দিন আপনি আছেন তাঁর পাশে। তাঁর হাতে হাত রাখুন, কাছে টেনে নিয়ে জড়িয়ে ধরুন, ভরসা দিন যাই হোক না কেন এ যুদ্ধে আমরা জয়ী হবই।
এসব বাদেও আলিঙ্গন দিবসের কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখাও কিন্তু রয়েছে। মনের মানুষকে জড়িয়ে ধরলে 'অক্সিটোসিন' (Oxytocin Hormone) নামক হরমোন নির্গত হয়, যা একে অপরের প্রতি বিশ্বাস তৈরি করে এবং ক্লান্তি দূর করে। লড়াই করার জন্য মনোবল তৈরি করে এবং হৃদরোগ সম্পর্কিত যে কোনও ঝুঁকি হওয়ার সম্ভাবনাকে প্রতিরোধ করে।
এই দিনটি প্রথম ১৯৮৬ সালে মার্কিন মুলুকের মিশিগান রাজ্যের কেভিন জবার্নি নামে এক ব্যক্তি তৈরি করেছিলেন। এই বিশেষ দিনটি বেছে নিয়েছিলেন তিনি কারণ এটি ক্রিসমাস-এর পরে এবং ভালবাসা দিবস অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন ডে-এর মাঝামাঝি একটা সময়। প্রাথমিক ভাবে এটা আমেরিকায় শুরু হয়েছিল। কিন্তু জবার্নি চেয়েছিলেন, সারা বিশ্বে এই দিনটি আলিঙ্গন দিবস হিসেবে পরিচয় পাক। তিনি এই দিনটি সম্পর্কে বলেছিলেন, আপনি পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিকে গিয়ে জড়িয়ে ধরুন, দেখবেন আপনার মানসিক দিক দিয়ে কতটা সাবলীল হয়ে পড়েছেন। তাই আজকের আর না ভেবে একবার জড়িয়ে ধরুন না মনের মানুষটাকে!