#নয়া দিল্লি: ভারতে করোনা হাহাকার! বিপর্যস্ত জনজীবন, চারদিকে মৃত্যু মিছিল! মহামারীর এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই ফের আরেক নতুন বিপদের দিকে এগচ্ছে দেশ! এই নয়া আতঙ্কের নাম ব্রুসেলোসিস! ইতিমধ্যেই ভারতে ঢুকে পড়েছে করোনার থেকেও ভয়ানক এই ব্যাকটেরিয়াল ভাইরাস! গবেষকদের সতর্কবার্তা, এখনই সাবধান না হলে, আমাদের সামনে অপেক্ষা করছে আরেকটি ভয়ঙ্কর মহামারী!
ব্রুসেলা জেনাসের অন্তর্ভুক্ত একদল ব্যাক্টিরিয়াই ব্রুসেলোসিসের কারণ। শুধু মানুষ নয়, সংক্রমিত করে পশুদেরও। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করোনার থেকে বহুগুণ বেশি। বিজ্ঞানীদের দাবি, ব্রুসেলোসিস মহামারী কোভিড-১৯ মহামারীর থেকেও বহুগুণ মারাত্মক হতে পারে! কাজেই শুরুতেই সতর্ক হতে হবে!
কীভাবে ছড়ায় ব্রুসেলোসিস?
আক্রান্ত পশুর ফ্লুইড থেকে সরাসরি মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভয়ঙ্কর ব্যাকটিরিয়া। কাঁচা অথবা আনপাস্তুরাইজড ডেয়ারি প্রডাক্ট থেকেও ছড়িয়ে পড়ে ব্রুসেলোসিস। যৌন মিলনের মাধ্যমে, এমকী শিশুকে স্তন্যপান করানোর সময়ও মায়ের থেকেও শিশুর শরীরে ঢুকে পড়তে পারে এই ভয়ানক ব্যাকটিরিয়া। পাশাপাশি, দূষিত বায়ু থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদি শরীরে কোনও ক্ষত বা আঘাত থাকে, তাহলে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কী কী উপসর্গ?
ইতিমধ্যেই ভারতে থাবা বসিয়েছে এই ব্যাকটেরিয়াল ভাইরাস, আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ-পশু দুই-ই! ব্রুসেলোসিস-এর উপসর্গ হল--জ্বর, গাঁটে ব্যথা, ক্লান্তি, খিদে কমে যাওয়া, খাবারে অরুচি, মাথা ব্যথা, অত্যধিক ঘাম হওয়া। করোনাএ উপসর্গের সঙ্গে অএক মিল রয়েছে! ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পর কয়েক মাস পর্যন্ত শরীরে জীবিত থাকে এই ব্যাকটিরিয়া, এই সময়ের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
কোভিড ১৯ এর কোনও নির্দিষ্ট চিকিত্সা না-থাকলেও ব্রুসেলোসিসের চিকিত্সায় একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে। তবে, কোভিডের মতো এরও কোনও ভ্যাকসিন নেই।
করোনার মতোই ব্রুসেলোসিস-এর জন্মও চিনে। গতবছর ডিসেম্বর মাসে চিনের একটি বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি থেকে ছড়িয়ে পড়ে এই ব্যাকটিরিয়া। চিনের গানসু প্রদেশের রাজধানী শহর লানজুর জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের (NHC) রিপোর্ট অনুযায়ী, এ'পর্যন্ত ৩,২৪৫ জন ব্রুসেলোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন।