শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে কিডনি সুস্থ রাখা আবশ্যিক। কিডনির অবস্থা ঠিক থাকলে শরীরে হরমোন ব্যালান্স ঠিক থাকে। এছাড়াও মানবদেহে ছাকনির কাজ করে এই অঙ্গ। তাই একে সুস্থ রাখা বিশেষ প্রয়োজন।
কিন্তু ঠিক কী কী করণীয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রাথমিক ভাবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকে কিডনি। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী -
১) শরীররে হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন। তাই যথেষ্ট পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকেই। কিন্তু জল কম খাওয়ার মতোই অতিরিক্ত পরিমাণে জল খেলেও কিছু ক্ষেত্রে বিপত্তি হতে পারে। কিডনি বিকল হলে অতিরিক্ত পরিমাণে জল খাওয়াও বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই দিনে ৮ গ্লাস জল স্বাভাবিক বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের যাতে মূত্রের রং হালকা হলুদ বা রঙহীন হয়।
২) ডায়েট ঠিও রাখা দরকার কিডনি ভালো রাখতে। ডায়াবিটিস বা উচ্চ রক্তচাপ কিডনির অসুখ ডেকে আনার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই স্বাস্থ্যকর এবং কম সোডিয়াম যুক্ত, কম কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয়।
৩) শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। ফলে ওজন, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে।
৪) রক্তের ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলি বের করে দিয়ে ছাকনির কাজ করে কিডনি। তাই আপনারও দায়িত্ব কিডনিকে সুস্থ রাখা। অ্যালকোহল, ওষুধ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও ছাকনির কাজ করে কিডনি। তাই প্রয়োজনের বেশি ওষুধ খাবেন না। মদ্যপানেও নিয়ন্ত্রণ আনুন।
৫) প্রত্যেকের শরীরের আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে। তাই কারোর কিডনির রোগের সম্ভাবনাও বেশি থাকে। বিশেষ করে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ এগুলি থাকলে কিডনির ঝুঁকি থাকে। এছাড়া যাঁরা বেশি মাত্রায় ধূমপান ও মদ্যপান করেন, হার্টের অসুখ রয়েছে বা ওবেসিটির শিকার তাঁদের এই সমস্যা হয়।
৬) কিডনির অসুখ সহজে বোঝা যায় না। নীরব ঘাতকের মতো এটি কাজ করে। উপসর্গ বোঝার আগে কিডনির ৯০ শতাংশ খারাপ হয়ে যায়। তাই আগে থেকেই কিডনির ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন। নিয়মিত কিডনির অবস্থা পরীক্ষা করান।