#কলকাতা: উৎসবের সময়ে নিজেকে আটকে রাখবেন? একেবারেই নয়। কিন্তু প্রাণ খুলে খাওয়াদাওয়া করতে গেলেই মনে হয় এর পরে না জানি কী হবে! প্রেসার, সুগার, কোলেস্টেরল সব তরতর করে বেড়ে যাবে। তার সঙ্গে বাড়বে ওজনও। কিচ্ছু হবে না, ভরসা দিচ্ছি আমরা। শুধু খুব বুদ্ধি করে কয়েকটা কৌশল বেছে নিতে হবে। তার মানে কিন্তু এই নয় যে কম খাবেন বা বেছে বেছে খাবেন। সব খান, প্রাণভরে আনন্দ করুন, কিন্তু এই সোনার টিপসগুলো লিখে রাখুন মনের খাতায়।
১. শরীরের পক্ষে যেটা সব চেয়ে ক্ষতিকর সেটা হল চিনি। চিনি রক্তে শর্করার পরিমাণ আর ওজন দু'টোই বাড়িয়ে দেয়। তাই বলে মিষ্টি বাদ দিয়ে তো উৎসব হতে পারে না। সরাসরি চিনি খাওয়ার বদলে গুড় খান। মিষ্টির বদলে এমন কিছু ব্যবহার করুন যা খাবারে মিষ্টত্ব আনবে কিন্তু কোনও ক্ষতি করবে না। যেমন খেজুর, অঞ্জির, কেশর ইত্যাদি।
২. আপনি যদি মিষ্টি-অন্ত প্রাণ হন তা হলে একটা দারুণ আইডিয়া দিচ্ছি। গুলাব জামুন আর রসগোল্লার মতো চিনির সাগরে সাঁতার দেওয়া মিষ্টি না খেয়ে ফ্রুট স্যালাড খান। পুষ্টি আর স্বাদ দু'টোই পাবেন।
৩. কম ফ্যাটের শ্রীখণ্ডও খেতে পারেন।
৪. ড্রাই ফ্রুটসের চেয়ে ভালো মুখমিষ্টি কিছুই হতে পারে না। কারণ ফলের মিষ্টিতে কোনও ক্ষতি হয় না। তাই এই দিওয়ালিতে ড্রাই ফ্রুটস বাড়িতে আনুন।
৫. ডার্ক চকোলেট নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।
৬. দোকানের মিষ্টিতে কেজি কেজি চিনি আর কৃত্রিম রং থাকে। তাই নিজের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বাড়িতেই মিষ্টি বানিয়ে নিতে পারেন।
৭. চিনির পরেই পাত থেকে সরিয়ে রাখুন তেলে ভাজা খাবার। জানি ওগুলো খেতে বেশি ভালো লাগে, তা-ও উৎসবের কথা মাথায় রেখে ভাজা না খেয়ে রোস্ট করে খান। এতে স্বাদও বজায় থাকবে কিন্তু শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না।
৮. শরীরের ক্ষতি করতে নুনও কিছু কম যায় না। এ কথা আপনার অজানা নয় যে নুন প্রেসার বাড়িয়ে দেয়। তাই যে বাদামে নুন আছে, সেটা না খেয়ে নুন ছাড়া বাদাম খান। ভাজাভুজি ডুবিয়ে খাওয়ার জন্য যে ডিপ ব্যবহার করেন তাতেও যে নুন থাকে ঢের, তাই সেটা বাদ দিয়ে দইজাতীয় কিছু ডিপ বেছে নিন।
৯. পানীয়ই বা কেন বাদ যায়? উৎসবের মরশুমে একটু-আধটু মদ্যপান অনেকেই করেন। তবে স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে রেড ওয়াইন বেছে নিন কারণ এতে ক্যালোরি অনেক কম থাকে।