#থাইল্যান্ড: কুকুর। ঘরে ঘরে অত্যন্ত প্রিয় পোষ্য। তবে প্রভুভক্ত হিসেবে একটা সুনামও আছে। তাই অনেকেই নিরাপত্তার খাতিরে বাড়িতে কুকুর রাখেন। শুধু খেলাধূলা বা আদর নয়। বিপদে পড়লে হিংস্র হয়ে ওঠে প্রাণী। ঘ্রাণশক্তিও ততটা শক্তিশালী। মালিকের কেউ ক্ষতি করবে ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার উপরে। কখনও কখনও মালিককে বাঁচাতে গিয়ে নিজের প্রাণ পর্যন্ত দিয়ে দেয়। প্রতি দিন এই রকম নানা গল্প উঠে আসে। কুকুরদের আত্মত্যাগের নানা সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। কিন্তু থাইল্যান্ডের এই ঘটনা একটু অবাক করবে। দোকানে সর্বস্ব চুরি হয়ে গেল। তবুও নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকল সাইবেরিয়ান হাস্কি প্রজাতির (Siberian Husky) কুকুরটি। তবে, কপাল ভালো, বিষয়টি পুরোপুরি সাজানো ছিল। আসলে কুকুরটিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্যই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে একটি চুরির পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল।
ইতিমধ্যেই Facebook-এ ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। দেখা যাচ্ছে, একটি দোকানে সমস্ত চুরি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে কুকুরটি। টুঁ শব্দটিও করছে না। চোরের কাছে বন্দুকও রয়েছে। কিন্তু তাতে কী? ও সবে মন নেই ওই কুকুরের। যাই হোক, যদি সত্যি এই রকম কোনও ঘটনা ঘটত, তাহলে কিন্তু বড়সড় বিপদের সম্ভাবনা ছিল। এমনই জানাচ্ছেন ওই দোকানের মালিক ওরাউট লোমওয়ানাওং (Worawut Lomwanawong)।
দোকান মালিকের কথায়, আসলে পুরো ঘটনাটি সাজানো হয়েছিল। পোষ্য কুকুর লাকিকে একটি গয়নার দোকানে রাখা হবে। সেই জন্যই তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তেমন কোনও সাড়া পাওয়া গেল না। ভেবেছিলাম, সশস্ত্র দুষ্কৃতী দোকানের মধ্যে ঢুকে হামলা চালালে বা হুমকি দিলে, গর্জে উঠবে কুকুরটি। ঝাঁপিয়ে পড়বে চোরের উপরে। কিন্তু তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল না। পুরো ঘটনাটি দোকানের CCTV ক্যামেরায় বন্দী হয়েছিল। যা পরে ভাইরাল হয়ে যায়।
ওই চুরির সময়ে বার বার লাকির দিকে দেখছিল দোকানের মালিক লোমওয়ানাওং। এমনকি তাকে ইঙ্গিত দেওয়ারও চেষ্টা করেন তিনি। সাজানো চোর চেঁচামেচিও শুরু করে। কিন্তু কোনও এক স্বপ্নের দেশে হারিয়েছিল কুকুরটি। লোমওয়ানাওংয়ের কথায়, লাকির এই ব্যবহারে একটু অদ্ভুত লেগেছে। তবে কোনও সমস্যা নেই। হয় তো ওর অন্য কোনও দিকে টান রয়েছে। ওকে আমি এখনও সমান ভালোবাসি। হয়তো লাকি এরকমই, ও সবাইকে ভালো রাখতে চায়। খুশি দেখতে চায়। কোনও দোকানের পাহারিদারি করার ইচ্ছে নেই তার!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।