#কলকাতা: গর্ভাবস্থা যে কোনও মহিলার জীবনেই একটা দারুণ উপভোগ করার সময়। এই সময়টা সকলে যেমন আনন্দ করেন, তেমনই ডিপ্রেশন, স্ট্রেস, হাইপার টেনশন-সহ একাধিক সমস্যা আসে। শারীরিক গঠনেও পরিবর্তন হয়, ফলে অনেকেই খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন। যাতে আদতে খুবই ক্ষতি হয় শরীরের। অনেকে আবার ক্রেভিংস থেকে অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়া করেন। ক্রেভিংস এই সময়ে চেপে না রাখাই ভালো, কিন্তু ভুলভাল অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে থাকা উচিৎ।
গর্ভাবস্থায় সকলেই একটুআধটু নিজের দিকে নজর দেন। একাধিক নিয়ম মেনে চলেন। কিন্তু সঠিক ডায়েট মেনে চলা অনেক সময়েই সম্ভব হয় না। বিশেষ করে যাঁরা ওয়ার্কিং উওম্যান, তাঁদের পক্ষে তো বটেই। তাই ডায়েট প্রপারলি একটু তো মেনে চলতেই হবে, মাথায় রাখতে হবে যে এমন কিছু খাবার আছে যা এই সময় খাওয়া উচিৎ নয়। জেনে নেওয়া যাক কোনগুলি-
আধসেদ্ধ মাংস, মাছ
যে কোনও খাবারই ভালো করে সেদ্ধ না হলে তা সহজপাচ্য হয় না। তাই সবজি থেকে মাছ-মাংস- সবই সেদ্ধ করে ভাল করে রান্না করে খেতে বলা হয়। তবুও যদি অজান্তে কম সিদ্ধ থেকে যায় খাবার, তা হলে সাধারণ মানুষ তা হজম করতে পারলেও গর্ভাবস্থায় হজম করা কঠিন। পাশাপাশি এর থেকে ক্ষতিকর মাইক্রোঅরগ্যানিজমও হতে পারে। সাধারণত আধ-সিদ্ধ বা ঠিকঠাক ভাবে না রান্না করা মাংস, মাছ বা কোনও সামুদ্রিক খাবারে কিন্তু ব্যাকটেরিয়া থেকে যেতে পারে। ফলে সে দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
কাঁচা ডিম
অনেক দেশেই কাঁচা ডিম খাওয়ার চল রয়েছে। যদি কারও এমন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তা হলে এই সময়ে তা এড়িয়ে যাওয়া ভালো। ডিম ভালো করে সিদ্ধ করে বা ভেজে খেলে তা সহজে হজম হবে।
কাঁচা স্প্রাউটস
স্প্রাউটস খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। অনেক সময়ই কাঁচা স্প্রাউটস খাওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় এটা এড়িয়ে গেলে ভালো হয়। কাঁচা স্প্রাউটসে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। যা খেলে পেটের একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রচুর খেজুর খাওয়া
খেজুরও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো কিন্তু গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া ঠিক নয়। কারণ খেজুর শরীর গরম করে। যা ইউরিনে সমস্যা করতে পারে। তা ছাড়াও গর্ভাবস্থায় শরীর অত্যধিক গরম হয়ে যাওয়া ভালো নয়।
তেঁতুল
গর্ভাবস্থায় অনেকেরই টক খেতে ভালো লাগে। যার জন্য বেশিরভাগ মহিলাই তেঁতুলের আচার খেয়ে থাকেন। এই তেঁতুলই অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে বা রোজ খেলে তা শরীরের ক্ষতি করে। এমনকি এর জন্য মিসক্যারেজও হতে পারে। তার কারণ তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C থাকে। যা শরীরে প্রজেস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা জুস অনেকেই পান করেন। এটির একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। কিন্তু এতে থাকা আন্থ্রাকুইননস গর্ভাবস্থায় শরীরে গেলে ক্ষতি করে।
পেঁপে
পেঁপে খেলে শরীর গরম হয়। তাই গর্ভাবস্থায় বেশিমাত্রায় পেঁপে খেলে তা মিসক্যারেজ করিয়ে দিতে পারে।
কফি
শরীর গরম করে দেয় কফিও। তাই এটি দিনে বেশি খাওয়া ঠিক নয়। পাশাপাশি অত্যধিক কফি বাচ্চার ওজনবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে। তাই দিনে সর্বোচ্চ দু'কাপ কফি খাওয়া যেতে পারে। এর বেশি নয়।