#নয়াদিল্লি: বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সুস্থ থাকতে সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার অত্যন্ত জরুরি। কারণ, সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখে। বিশেষ করে বয়স ৬০ পেরোলে (Post 60 Diet) শরীরে বাড়তি শক্তির প্রয়োজন হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সময় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের (Post 60 Diet) প্রয়োজন। এখানে কয়েকটি খাবারের তালিকা দেওয়া হল যা বিশেষজ্ঞরা বয়স ৬০ পেরোলে (Post 60 Diet) স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা বাড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখার সুপারিশ করেছেন।
আরও পড়ুন- সন্তানের জন্য স্কুল খুঁজছেন? ভর্তি করার আগে এই জিনিসগুলো দেখে নিতে ভুলবেন না!
ডিম: ভিটামিন ডি-র সবচেয়ে বড় উৎস হল ডিম। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। কারণ শরীর সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি সংশ্লেষণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তখনই শরীরের প্রয়োজনীয় ক্রিয়াকলাপগুলি বজায় রাখার জন্য শরীরের ভিটামিন ডি-এর স্বাস্থ্যকর বুস্টের প্রয়োজন হয়। ৬০-এর পরে (Post 60 Diet) বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিনের মেনুতে ১০০ গ্রাম ডিমের কুসুম খাওয়ার পরামর্শ দেন। ডিমের সঠিক পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড শরীর ও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে এবং প্রোটিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে হাই কোলেস্টেরল থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
চর্বিযুক্ত মাছ: বয়স ৬০ পেরলে সার্ডিন, টুনা এবং ট্রাউটের মতো চর্বিযুক্ত মাছ পাতে রাখতে হবে। এগুলো সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিনের মেনুতে মোট খাবারের অন্তত ২ শতাংশ চর্বিযুক্ত মাছ রাখার কথা জানাচ্ছে ব্রিটিশ নিউট্রেশন ফাউন্ডেশন। কারণ মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নতিতে সাহায্য করে।
ভাত: এ দেশে ভাতই প্রধান খাবার। বিশেষ করে বাঙালিরা তো ভাত ছাড়া অচল। ম্যাগনেসিয়াম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজে সমৃদ্ধ ভাত কিন্তু খুবই স্বাস্থ্যকর। হালকা, তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায় এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই বয়স ৬০ পেরলেও (Post 60 Diet) খাদ্যতালিকায় ভাত রাখা নিয়ে কোনও সংশয় না রাখাই ভালো।
আরও পড়ুন- যক্ষ্মা প্রাণঘাতী, তবে এই তিনটি যোগাসনে মারণরোগকে ঠেকাতে পারেন সহজেই!
কলা: বয়স বাড়লে (Post 60 Diet) অনেক সময় রক্তচাপ বাড়ে। ব্লাড প্রেসার ইউকে-র সমীক্ষা অনুযায়ী, ডায়েটে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যোগ করলে তা রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া কার্ডিয়াক রোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। কলায় থাকে পেকটিন নামক একটি ফাইবার। যা কোষ্টকাঠিন্যের মতো সমস্যার দূরে রাখতে সাহায্য করে। পেট পরিস্কার রাখার পাশাপাশি হজমেও সাহায্য করে কলা। একটি কলায় থাকে ৩ গ্রাম ফাইবার। যা খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। ভি়টামিন-মিনারেলের মতো বহুগুণ সমৃদ্ধ কলায় রয়েছে ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও।
বেরি: বেরি জাতীয় এই ফলগুলো বিশ্বের অধিক পুষ্টিকর খাদ্যের মধ্যে অন্যতম। প্রাকৃতিক আঁশের অন্যতম একটি ভাণ্ডার হচ্ছে বেরি জাতীয় ফল। হজমশক্তি ঠিক থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের আশঙ্কা থাকে না। বেরি জাতীয় ফলগুলোতে অ্যানথোসায়োনেনস নামের অন্য আরেকটি উপাদান রয়েছে যা মানবদেহের রক্তের ইনসুলিন ভারসাম্য ঠিক রাখে ও রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Diet Chart, Health care