#কলকাতা: শুধু বইয়ে মুখ গুঁজে থাকা নয়। বয়সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিটি শিশুকেই কিছু শিষ্টাচার ও মূল্যবোধ আত্মস্থ করতে হয়। তার উপর ভর করেই গড়ে ওঠে চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব। শিশুর আচরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব থাকে বাড়ির। বাবা-মা, ভাইবোন, দাদু-ঠাকুমার কাছ থেকেই সে শেখে জীবনের প্রথম পাঠ। এর পর আসে বিদ্যালয় এবং বন্ধুবান্ধব। এই সব জায়গায় শিশু ভালো হওয়ার রসদ পায়। শেখে কিছু ক্ষতিকর অভ্যাসও। তাই শিশু যাতে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
সন্তানের কথা শোনার অভ্যাস
সারা দিনে কী ঘটল, কে কী বলল, সেই সমস্ত কিছু শিশু তার মা-বাবার সঙ্গে শেয়ার করতে চায়। সে সব ধৈর্য ধরে শুনতে হবে। সে যতই তুচ্ছ বিষয় হোক না কেন! শিশুর কাছে কিন্তু সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তার ‘প্রাসঙ্গিকতার’ ধারণা আলাদা। তার বেড়ে ওঠার দিনগুলোতে অভিভাবক যদি এই দায়িত্ব পালন করে তাহলে শিশু নিজেকে নিরাপদ মনে করবে। হয়ে উঠবে আত্মবিশ্বাসী। বড় হয়ে সে অন্যের কথাও মন দিয়ে শুনবে।
অন্যের সঙ্গে তুলনা নয়
পাশের বাড়ির ছেলে অঙ্কে লেটার মার্কস পেয়েছে। তোর কেন হল না? এমন তুলনা বন্ধ করতে হবে। প্রত্যেকের কিছু নিজস্ব গুণ এবং ক্ষমতা থাকে। কেউ অঙ্কে খারাপ নম্বর পেলেও হয় তো ভালো আঁকতে পারে। তাকে সে ব্যাপারেই উৎসাহ দিতে হবে। অন্যের সঙ্গে অবিরত তুলনা শিশুর আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে দেয়। নিজের ক্ষমতার উপর আস্থা হারায়। অভিভাবকদের বুঝতে হবে, প্রত্যেক শিশু কিছু ক্ষেত্রে ভালো, সবেতে নয়। তাই যে ক্ষেত্রে পারদর্শী তাতে উৎসাহ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: উপকারী হলেও প্রেগন্যান্সির সময় এই ফলগুলি একদম খাবেন না!
মোবাইল ও কম্পিউটারের সামনে বেশিক্ষণ নয়
সবসময় টিভি, স্মার্টফোন বা কম্পিউটার মুখে বসে থাকা বন্ধ করতে হবে। এতে অল্প বয়সেই চোখ তো বটেই, স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে। প্রয়োজনে সময় বেঁধে দিতে হবে। একটা বা দু'টো কার্টুন কিংবা ১৫ থেকে ২০ মিনিট মিনিট ভিডিও গেমের জন্য নির্দিষ্ট করে দিলে সবচেয়ে ভালো। বদলে অভিভাবক বা পরিবারের লোকের সঙ্গে সময় কাটাক, গল্প করুক।
নির্ভরশীলতা কমাতে হবে
অভিভাবকের সাহায্য ছাড়া শিশু এক পা চলতে পারে না। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নির্ভরশীলতা ঠিক নয়। যদি খাওয়াদাওয়া থেকে খেলাধুলো সবেতেই শিশুকে সাহায্য করা হয়, তাহলে পরনির্ভরশীলতা তৈরি হয়। যা ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর। তাই তাকে স্বাধীনভাবে কাটানোর সুযোগ করে দিতে হবে। এতে নির্ভরতা কমবে। ব্যক্তিত্বের বিকাশ হবে।
মন ভরে খেলুক
এই প্রজন্ম মহামারী দেখেছে। প্রযুক্তির প্রতি অত্যধিক নির্ভরতা, ভার্চুয়াল মাধ্যম চাক্ষুষ করেছে। আধুনিক ইঁদুর দৌড় যাতে অসুস্থ প্রতিযোগিতার স্তরে না যায় তার জন্য শেখাতে হয় বন্ধুত্বের মূল্য, টিম স্পিরিট, অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর মতো মূল্যবোধ। খেলাধুলোর মাধ্যমেই শিশু এটা শিখতে পারে। খেলা শুধু শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশই নয়, তার ব্যক্তিত্বের বিকাশের জন্যও প্রয়োজনীয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।