#কলকাতা: ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ হোক অথবা সন্ধের স্ন্যাকস বা ডিনার। পাতে একটা ডিম (Egg) থাকলে চট জলদি পেট ভরে। বলা হয় ডিম একটি সুপারফুড যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, আয়রন এবং প্রোটিন আছে। প্রতিদিনের এনার্জি তৈরিতে ডিমের অবদান আছে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় ডিম।
যেমন ডিমের ভিটামিন বি২ শরীরের কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। নার্ভাস সিস্টেমকেও শক্তিশালী করে ডিম। আবার ভিটামিন এ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কিন্তু আজকাল দেখা যায়, অনেকেই কুসুম (Egg yolk) বাদ দিয়ে ডিমের সাদা অংশটি শুধু খান। কুসুমে কোলেস্টেরল বেশি এবং কুসুম নিয়মিত খেলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি আছে। এমন মনে করেই অনেকে কুসুম ফেলে দিয়ে শুধু ডিমের সাদা অংশ খান। অন্যদিকে ডিমের সাদা অংশে লো ফ্যাট ও হাই প্রোটিন থাকায় এটি প্রায় সকলেই খান।
আরও পড়ুন- শীতকালে চুলে নানা সমস্যা! ঘন ও উজ্জ্বল চুলের জন্য রান্নাঘরেই রয়েছে বিশেষ উপকরণ
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কুসুমেও (Egg yolk) রয়েছে কিছু খাদ্যগুণ। প্রথমত ডিমের সাদা অংশে যে পরিমাণ ভিটামিন থাকে, তার থেকে অনেক বেশি রকমের ভিটামিন থাকে কুসুমে। ডিমে সাত রকমের ভিটামিন থাকে তার মধ্যে ভিটামিন এ, কে, ই, ডি শুধু কুসুমের মধ্যেই থাকে। এইগুলি সাদা অংশ থেকে পাওয়া যায় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমের কুসুমের থেকেও স্যাচুরেটেড ফ্যাট খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। টেস্টোস্টেরন তৈরি করতে কোলেস্টেরলের দরকার যেটি শরীরে পেশী শক্ত করতে ও এনার্জি তৈরি করতে দরকার হয়।
আরও পড়ুন- বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা! রোজ পাতে থাক শীতের এই তিন দানাশস্য
দ্বিতীয়ত, কুসুমেই অধিক পরিমাণে কুসুম থাকে। তাই ডিম খাওয়ার সময়ে কুসুম (Egg yolk) বাদ দিয়ে দেওয়া মানে প্রোটিনের অনেকটাই বাদ দিয়ে দেওয়া। যদি একটি গোটা ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে ৩.৬গ্রাম। তাহলে তার ২.৬ গ্রামই থাকে কুসুমের মধ্যে। এছাড়াও ডিমের কুসুমে থাকে ৯০ শতাংশ ক্যালশিয়াম ও ৯৩ শতাংশ আয়রন। ডিমের সাদা অংশে মাত্র সাত শতাংশ পুষ্টি থাকে। এছাড়াও ডিমের কুসুম খেলে ভালো থাকে চোখ। চোখে ছানি পড়া বা অন্যান্য বয়সজনিত চোখের অসুখ দূরে রাখতে সাহায্য করে ডিমের কুসুম।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Egg