#নয়াদিল্লি: আংশিকভাবে হাইড্রোজেনেটেড তেল (PHO) হল উদ্ভিজ্জ তেলের একটি জটিল রূপ যার হাইড্রোজেনেশন হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রক্রিয়াটি তরল উদ্ভিজ্জ তেলে হাইড্রোজেন অণু যোগ করে এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রায় একে সলিড বস্তুতে রূপান্তরিত করে। ফলে, এই প্রক্রিয়ায় ট্রান্স ফ্যাট তৈরি হয়, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ বলে বিবেচিত হয়। ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) অনুসারে, পিএইচও মানবদেহের জন্য মোটেই নিরাপদ নয়।
কীভাবে এটি খাবারে ব্যবহৃত হয়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, তেলের এই সংস্করণটি প্রায়শই মাইক্রোওয়েভে তৈরি পপকর্ন, প্যাকেটের উদ্ভিজ্জ তেল, উদ্ভিজ্জ তেল ব্যবহার করে এমন বেকারি আইটেম, নন-ডেয়ারি কফি ক্রিমার, আলুর চিপস এবং এমনকী আগে থেকে তৈরি পিজা বেসে ব্যবহার করা হয়। উৎপাদনকারীরা এই তেল ব্যবহার করে খাবারের লাইফ বা এক্সপায়ারি ডেট বাড়াতে, স্বাদ যোগ করতে এবং উৎপাদন খরচ বাঁচাতে। কারণ এটি মাখন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর তেলের তুলনায় অত্যন্ত সস্তা।
এই তেলের সঙ্গে কেন জড়িত স্বাস্থ্যের ঝুঁকি?
যেহেতু এই তেলে ট্রান্স ফ্যাট বেশি, তাই এই তেল কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডও বাড়াতে পারে, শরীরে প্রদাহের প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি করে। উচ্চ মাত্রার ট্রান্স ফ্যাট শরীরে থাকা মোটেই ভালো নয়। কারণ এটি স্মৃতিশক্তি দুর্বল করে দেয়। ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে গেলে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও থাকে।
আরও পড়ুন- হজমশক্তি বাড়াতে প্রতিদিন অভ্যেস করুন এই ছয়টি যোগাসন; ফল পাবেন হাতে-নাতে!
কীভাবে এই তেলের ব্যবহার কম করা যায়?
কেনার আগে সব সময় তেলের প্যাকেট পড়ে বুঝে নিতে হবে এতে কী কী উপাদান আছে। এছাড়া প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্যান্য স্বাস্থ্যকর তেল অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। যেমন ভার্জিন অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো তেল এবং চিনাবাদাম তেল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। রান্নার ধরনও পরিবর্তন করা যেতে পারে। যেমন, কোনও কিছু ভাজা না খেয়ে সেদ্ধ বা বেক করে খেলে তেল কম লাগবে। এছাড়াও, প্যাকেটজাত খাবার যতটা সম্ভব কম খেতে হবে, বন্ধ করে দিতে পারলে তো খুবই ভাল!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Diet