#নয়াদিল্লি: ২ অক্টোবর শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন অভিনেত্রী মিষ্টি মুখোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে তাঁর কিডনি অচল হয়ে যাওয়ার মূলে আছে কেটো ডায়েট। সত্যিই কি তাই? বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি! কিছুটা জানি আর বেশিরভাগটাই জানি না। আর এই না জানা আমাদের জীবনে অনেক সময় অনেক উটকো বিপদ নিয়ে আসে। অনেকেই ভাবেন যে ওজন কম করা আর ডায়েট করা দুটো সমার্থক। আর এই ওজন কম করার বাতিক সবচেয়ে বেশি দেখা যায় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে। কিন্তু না জেনে, না বুঝে কতটা খেলে বা কতটা না খেলে বিপদ হতে পারে সেটা আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না।
মিষ্টি মুখোপাধ্যায়ও সম্ভবত সেটা বোঝেননি। অভিনেত্রী না কি বেশ কিছুদিন ধরেই ওজন কম করতে কেটো ডায়েট অনুসরণ করছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরেই স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছিল। শেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন এবং অকাল প্রয়াণ হল তাঁর। কেটো ডায়েটের ফলে বিকল হয়ে গিয়েছিল মিষ্টির কিডনি, আপাতত সেটাই শোনা যাচ্ছে।
মিষ্টির মৃত্যু বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন বসিয়ে দিয়েছে কেটো ডায়েটের সামনে। আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ যদি এই ডায়েট ইতিমধ্যে অনুসরণ করে থাকেন, তা হলে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া অবশ্য প্রয়োজন।
কেটো ডায়েট আসলে কী?কেটো ডায়েট বা কেডিতে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট, প্রোটিন খাওয়া হয়। তুলনায় কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। এটা সাধারণত ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুব সহায়ক কারণ তাঁদের রক্তে ইনসুলিন ও চিনির মাত্রা কম থাকে। পুষ্টিবিদ রুচি শর্মা বলছেন যে এই ডায়েট মৃগি রোগ আছে এমন শিশুদের জন্যও উপকারি। কিন্তু অনেকেই না জেনে, না বুঝে শুধু ওজন কমানোর জন্য এই ডায়েট অনুসরণ করেন। কেন না কার্বোহাইড্রেট কম খেতে হয়।
তা, কেটো ডায়েট কি সত্যিই কিডনি বিকল করে দিতে পারে?গুরুগ্রামের নারায়ণ হাসপাতালের সিনিয়র পুষ্টিবিদ পরমিত কৌর বলছেন যে কেটো ডায়েট অনুসরণ করলে এক সপ্তাহের মধ্যে দারুণ ফল পাওয়া যায়। কারণ শরীর যে হেতু কার্বোহাইড্রেট কম পায় তাই বেশি এনার্জি তৈরি করে ফ্যাট বার্ন করতে শুরু করে।
কিন্তু এর উল্টো দিকও আছে। অতি মাত্রায় ফ্যাট খেলে কোলেস্টরল বেড়ে যায়। বেশি প্রোটিন আবার কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করে। অনেকেই কেটো ডায়েট অনুসরণ করার পর বলেছেন যে তাঁরা নিম্ন রক্তচাপে ভুগছেন। এটা আবার পরে হার্টের নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে।
পরমিত বলেছেন যে ওজন কম করতে কেটো ডায়েট অবশ্যই গ্রহণ করা যায়। কিন্তু তার আগে পুষ্টিবিদ বা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ না করলে বড় বিপদ ঘটতেই পারে।
আর একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। কেটো ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ থাকে স্বল্প। আচমকা কার্বোহাইড্রেট কমে গেলে শরীর তার প্রতিক্রিয়া কী ভাবে জানাবে, তা বলা কঠিন। অতি মাত্রায় প্রোটিন বার কিডনির উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে তো বটেই।
তাই পুষ্টিবিদদের মতে কেটো ডায়েটের পরিবর্তে লো কার্ব বা কম কার্ব যুক্ত ডায়েট গ্রহণ করাই ভালো। এতে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট- দুটোর মাত্রার মধ্যে একটা সামঞ্জস্য থাকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Keto Diet, Misti Mukherjee