Cucumber for Skin Care: গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা রাখতে শসার জুড়ি মেলা ভার! এই সময় অল্প বিট নুন সহযোগে শসা খেতে বেশ ভালোই লাগে। আবার রায়তা থেকে শুরু করে ঝালমুড়ি অথবা স্যালাড- এই সব কিছুই শসা ছাড়া একেবারেই ম্লান! এটা তো গেল খাওয়ার কথা! আসলে শসা খেলে শরীর তো ভালো থাকেই, এমনকী ওজনও কমে। এখানেই শেষ নয়, শসা ত্বকের জন্য অথবা রূপচর্চার জন্য গরম কালে দারুণ কার্যকরী। আসলে শসায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শুধু তা-ই নয়, শসায় থাকে ৯৬ শতাংশ জল, যার ফলে এটা সেনসিটিভ স্কিনের জন্যও একেবারেই নিরাপদ। জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে রূপচর্চায় শসা ব্যবহার করা যাবে।
চোখের ফোলা-ভাব দূর করতে:
আজকাল আমাদের ব্যস্ত জীবনে অনেকেরই রাতে ঠিক ভাবে ঘুম হয় না। তাই বহু ক্ষেত্রেই চোখে ফোলা-ভাব দেখা দেয়। এক্ষেত্রে কিন্তু মুশকিল আসান করতে পারে শসা! কারণ শসার রস চোখের ফোলা-ভাব তো কমাবেই, সেই সঙ্গে চোখকেও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। শসায় রয়েছে ভিটামিন-সি এবং ফোলিক অ্যাসিড। এই কারণে চোখে শসা দিলে সতেজ লাগে। তবে কুলিং আই ট্রিটমেন্টের ক্ষেত্রে শশা ব্যবহারের পরে আই-ক্রিম লাগাতে ভুললে কিন্তু চলবে না!
শসা যখন টোনার:
সূর্যের তাপ তেমন না-থাকলেও অনেক সময় ত্বকে ট্যান পড়তে দেখা যায়। এক্ষেত্রে বাড়িতে তৈরি শশার টোনার ত্বককে ঠান্ডা করে ও জ্বালা-পোড়া ভাব থেকেও রক্ষা করে। এই টোনার তৈরি করতে প্রথমে ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে একটি প্যানের জলে শশার টুকরোগুলি নিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এবার কম আঁচে ৫-৭ মিনিট তা ফুটিয়ে নিতে হবে। এর পরে ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার একটি মিহি কাপড়ে ছেঁকে মিশ্রণটি স্প্রে বোতল অথবা স্টেরিলাইজ করা পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। চাইলে এর মধ্যে গোপালজলও মেশানো যেতে পারে। তবে এর মধ্যে যেহেতু কোনও প্রিজারভেটিভ থাকে না, তাই ৩-৪ দিনের বেশি এই টোনার রাখা উচিত নয়।
ব্রনর জন্য:
ব্রনর সমস্যা দূর করতে শসা দারুণ কার্যকরী। ত্বকের জ্বালা ভাব এবং ফোলা কমানোর জন্য বেন্টোনাইট ক্লে-র সঙ্গে শশা মেশালে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। ত্বকের যে অংশে ব্রন হয়েছে, সেই জায়গায় সরাসরি শসার স্লাইস নিয়ে ঘষা যেতে পারে অথবা শিট মাস্কের সঙ্গেও শসা ব্যবহার করা যেতে পারে।
শসার জল দিয়ে মুখ ধোওয়া:
অন্যান্য উপকারী উপাদান যেমন- অ্যালোভেরা, গ্রিন টি অথবা ক্যাস্টিল সাবানের সঙ্গে শসার জল মিশিয়ে মুখ ধোওয়া যেতে পারে। এমনকী দিনের যে কোনও সময় শসার জল ব্যবহার করে মুখ ধুলে তরতাজা ভাব আসবে।
বডিলোশন হিসাবে:
শসা দিয়ে তৈরি বডি লোশন বানাতে বেশি সময়ও লাগে না, আর বানানোর পদ্ধতিও বেশ সহজ। যেমন- অ্যালোভেরা, ভিটামিন-ই এবং কোকোনাট মিল্ক দিয়ে তো বডি লোশন বাড়িতেই তৈরি করা যায়, আর এক্ষেত্রে স্বাভাবিক জলের পরিবর্তে শসার জল ব্যবহার করলে ত্বকের জন্য সেটা আরও বেশি উপকারী হবে।
আরও পড়ুন - আয়নার সামনে সঙ্গম করলে কী হয় জানেন ? বদলে যাবে জীবন
হাইড্রেটিং শসার মাস্ক:
শসায় ৯৬ শতাংশ জল থাকে, তাই এর সঙ্গে অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান যোগ করে ফেস মাস্ক তৈরি করা যেতে পারে। যা স্কিন এক্সফোলিয়েশনে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে শসা, মধু এবং দই-এর একটি মিশ্রণ দিয়ে হাইড্রেটিং মাস্ক বাড়িতেই বানিয়ে ফেলা যায়।
ত্বকের যত্নে শুধু শসা দিয়ে টোনার অথবা মাস্ক ব্যবহার করলেই হবে না, তার সঙ্গে সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন ডায়েটে প্রচুর শসা যোগ করতে হবে। এতে ত্বক এবং শরীর - দুইই ভালো থাকবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।