COVID 19-related symptoms: কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, গত ৩১ মার্চ ভারতে ১,২২৫ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। একই সঙ্গে কমেছে মৃত্যুর হারও। ওই দিন ২৪ ঘণ্টায় ২৮টি মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যাওয়ার কারণে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সংক্রান্ত সমস্ত বিধিনিষেধ গত ৩১ মার্চ থেকে তুলে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA)(COVID-19 restrictions eased)।
তবে এশিয়া এবং ইউরোপের কিছু দেশে ক্রমবর্ধমান কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা। আর তার প্রেক্ষিতে অদূর ভবিষ্যতে ভারতে কী ঘটতে চলেছে, তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিধিনিষেধের গেরো শিথিল হলেও করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্ক থাকা কিন্তু অত্যন্ত জরুরি। যদি ঠান্ডা লাগার মতো কোনও উপসর্গও দেখা যায়, তাহলে নিজের এবং আশপাশের মানুষের সুস্থতার জন্য কিছু পদক্ষেপ করা আবশ্যক।
ঠান্ডা লাগার উপসর্গে নজরদারি:
প্রথম থেকেই বলে আসা হচ্ছে যে, কোভিড-১৯-এর লক্ষণগুলিকে কখনওই হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। ওমিক্রনে ঠান্ডা লাগার মতো উপসর্গ দেখা দেওয়ায় অনেকেই এটাকে সাধারণ সর্দি, ফ্লু বা মরসুমি অ্যালার্জি ভেবে ভুল করে বসেন। এক্ষেত্রে জ্বর, ক্রমাগত কাশি, গলা ব্যথা, সর্দি, মাথাব্যথা, গা-হাত-পা ব্যথা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যার মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়। তাই এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আপাত ভাবে মৃদু উপসর্গ বলে মনে হলেও কোভিডে কিন্তু জটিলতা তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন - যৌনক্ষুধা বাড়িয়ে জীবনকে রোমাঞ্চে ভরিয়ে তুলতে এই মশলাগুলি জুড়িহীন
আইসোলেশন আবশ্যক:
অনেক সময় ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও বোঝা যায় না, কোভিড হয়েছে কি না। তাই এসব ক্ষেত্রে সব সময়ই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। ঠান্ডা লাগার মতো উপসর্গ দেখা দিলেও নিজেকে আইসোলেট করতে হবে। অন্তত উপসর্গ যত দিন থাকবে, তত দিন আইসোলেশনে থাকা উচিত। সেই কয়েক দিন অন্যান্যদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। না-হলে অন্যদের মধ্যেও রোগটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
নিশ্চিত হতে টেস্ট বাধ্যতামূলক:
উপসর্গ দেখা দিলে আদৌ করোনা হয়েছে কি না, সেটা অবিলম্বে টেস্ট করিয়ে দেখে নেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করালে দ্রুত ফল হাতে আসবে। আবার আরটিপিসিআর পরীক্ষাও করানো যেতে পারে, এতে কিছুটা সময় লাগলেও একদম সঠিক ফল পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন - ঝোড়ো যৌনজীবনেও অধরা অর্গ্যাজম? মহিলারাও পেতে পারেন শীর্ষ রতিসুখ
জমায়েত এড়িয়ে চলা উচিত:
যত দিন উপসর্গ থাকবে, তত দিন অন্তত পার্টি কিংবা জমায়েতে যাওয়া উচিত নয়। বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হওয়ার দিকে নজর দিতে হবে। কোভিড হোক কিংবা ফ্লু অথবা সাধারণ ঠান্ডা লাগাই হোক– সবই সংক্রামক। সুতরাং কেউ যদি রোগীর সংস্পর্শে আসেন, তাহলে তাঁর মধ্যেও রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
যাঁদের কো-মর্বিডিটি আছে, তাঁদের থেকে দূরে থাকা উচিত:
কোনও রকম উপসর্গ দেখা দিলে কো-মর্বিড রোগীদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের এবং যাঁদের ফুসফুস কিংবা হৃদরোগ অথবা ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁদের থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় কোভিড-১৯ তাঁদের জন্য অনেক বেশি গুরুতর হয়ে উঠতে পারে।
বাধ্যতামূলক না-হলেও কোভিডের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি:
বাধ্যতামূলক না-হলেও মাস্ক পরা,সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা এবং হাত ধোওয়া– এই সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আবশ্যিক। পাশাপাশি কোভিডের মতো রোগের মোকাবিলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল ভ্যাকসিনেশন। সেই সঙ্গে নিতে হবে বুস্টার ডোজও।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19