রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে আপনি কখনও হাঁড়িতে রান্না করা ডাল, বিরিয়ানি বা চিকেন চেখে দেখেছেন? অভিজ্ঞতা থাকলে বুঝতেই পারবেন স্বাদে-গন্ধে এর তুলনাই হয় না। একটা সময় আমাদের হেঁশেলে মাটির হাঁড়ি, কড়াই ব্যবহার করার রেওয়াজ ছিল খাবারে স্বাদ-গন্ধ ধরে রাখার জন্য। কিন্তু বর্তমানে দ্রুতগতির জীবনে আমরা ক্রমশ সেই সব অভ্যাস ছেড়েই দিয়েছি। মাটির হাঁড়ি বা যে কোনও মাটির পাত্রে রান্না করা খাবার শুধু স্বাদের জন্য নয়, আমাদের শরীরের জন্যেও উপকারী। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে শরীর সুস্থ রাখার জন্য মাটির পাত্রে রান্না করার কথা বলা হয়েছে। আসুন জেনে নিন এর উপকারীতা কী কী!
কম তেলের ব্যবহার
রান্নায় কম তেল ব্যবহার করতে চাইলে তবে মাটির বাসন আমাদের জন্য একদম পারফেক্ট। এক চামচ তেলই রান্নার জন্য যথেষ্ট, কেননা মাটির পাত্রে খুবই ধীর গতিতে রান্না হয় বলে খাবারের মধ্যে থাকা ন্যাচারাল অয়েল তা ধরে রাখতে সক্ষম।
অ্যালকালাইন প্রকৃতির
মাটি আসলে একপ্রকার ক্ষারজাতীয় পদার্থ বা অ্যালকালাইন প্রকৃতির। তাই আগুনের সংস্পর্শে এলে পাত্রে থাকা খাবারের সঙ্গে পাত্রের অ্যাসিডের মিশ্রণ ঘটে এবং pH লেভেলের ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে এই ধরনের খাবার খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়।
খাবারের স্বাদ বাড়ায়
মাটির পাত্রে করা যে কোনও রান্নাই খাবারের সমস্ত গুণাগুন ধরে রাখে। এছাড়া রান্না করার ধীর গতিতে খাবারে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং সালফার ইত্যাদি মিশে যাওয়ার কারণে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপযোগী হয়ে ওঠে।
সস্তা ও সুলভ
বাজারে প্রচলিত নানা ধরনের নন-স্টিক রান্নার বাসনকোসনের তুলনায় মাটির বাসন অনেকটাই সস্তা। এছাড়া আমাদের আশেপাশের ছোটখাটো দোকানেও খুব সহজেই বিভিন্ন আকারে মাটির পাত্র পাওয়া যায়। সেখান থেকে বেছে নিতে হবে শুধু মনের মতো সাইজ ও শেপের মাটির হাঁড়ি বা কড়াই। তবে কেনার সময় একটু লক্ষ রেখে কিনতে হবে যাতে কোনও চিড় বা ওই জাতীয় সমস্যা না থাকে। আর চেষ্টা করতে হবে গ্লেজ করা পটস্ না কিনে একদম সাধারণ বাসন কেনার, গ্লেজ করা মাটির বাসনে বেশিরভাগ সময় সেরামিকের রঙ করা থাকে। সেক্ষেত্রে যাবতীয় চেষ্টাই কিন্তু বৃথা হবে, কেন না রঙ করা মাটির বাসনে তার প্রাকৃতিক গুণ প্রায় থাকে না বললেই চলে!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।