শরীরে কোলেস্টেরল প্রয়োজন। রক্তের এই মোম জাতীয় পদার্থ সুস্থ কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। কিন্তু কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে রক্তনালীতে চর্বি জমতে শুরু করে। যা একসময় হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সমস্যা এড়াতে কোলেস্টেরলের মাত্রা রেড জোন থেকে বের করে আনা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন : সাবধান! চিনে নিন এই 'পাঁচ' ফল! রূপে ভুলবেন না, এই ফল খেয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে!
শরীরে দু’রকমের কোলেস্টেরল আছে। গুড কোলেস্টেরল এবং ব্যাড কোলেস্টেরল। লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন বা এলডিএল-ই ব্যাড কোলেস্টেরল। শরীরে এর মাত্রা বেড়ে গেলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
হাই কোলেস্টেরলের কারণ:
অনেক সময় জিনগত কারণে কোলেস্টেরল হয়, যা বংশ পরম্পরায় আসে। আবার অতিরিক্ত ধূমপান, অলস জীবনযাত্রা, ওজন বৃদ্ধি বা স্থূলতার কারণেও হাই কোলেস্টেরল দেখা দিতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং কখনও কখনও ওষুধ হাই কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
শরীরে কোলেস্টেরল বাড়লে অনেক সময় বোঝা যায় না। তাই নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা প্রয়োজন। তবে চিকিৎসকরা কিছু লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে বলেন। এগুলোই প্রাথমিকভাবে হাই কোলেস্টেরল সনাক্ত করতে সহায়তা করে।
পা এবং পায়ের পাতা অসাড়:
হাই কোলেস্টেরলের অন্যতম প্রধান লক্ষণ এটাই। অনেক সময় পা ঝুলিয়ে বসলে কিংবা দীর্ঘক্ষণ একভাবে এক জায়গায় বসে থাকলেও পা ঝিনঝিন করে। তবে হাই কোলেস্টেরল হলে এর মাত্রা বেড়ে যায়। এটা সংকেত দেয় যে ধমনী এবং অন্যান্য রক্তনালীতে প্লেক গঠন হয়েছে। অক্সিজেনযুক্ত রক্ত বাহু এবং পায়ে পৌঁছতে পারছে না। যার ফলে পা ঝিনঝিন করছে কিংবা অসাড় হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া পায়ে ক্র্যাম্প ধরা কিংবা ঘা হলে সারতে দেরি হওয়াও হাই কোলেস্টেরলের লক্ষণ।
ফ্যাকাসে নখ:
প্লেক জমা হওয়ার ফলে ধমনী সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে নখ-সহ শরীরের অন্যান্য অংশে রক্ত প্রবাহও সীমিত হয়। ফলে নখের নিচে কালো দাগ দেখা যায়। নখের রঙও ফ্যাকাসে হয়ে যায়।
স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক:
বেশি করে শর্করা খাদ্যগ্রহণ করলে তা পরিবর্তিত হয় ফ্যাটে। তখন দেহকোষগুলি তখন বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল তৈরি করে। এই জারিত কোলেস্টেরলের একটা বড় অংশ ধমনীর প্রাচীরে জমা হয় ও রক্তের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
কমানোর উপায়:
হাই কোলেস্টেরল কমাতে গেলে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন করতে হবে। পাতে রাখতে হবে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইভার সমৃদ্ধ খাবার। শাক-সবজি, তরিতরকারি, ফল তো বটেই, তার সঙ্গে অত্যাবশ্যক ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারও। মদ্যপান এবং ধূমপান বাদ দিতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cholesterol, High Cholesterol