আমাদের চুল ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন দিয়ে তৈরি। শরীরে যদি কোনও বাহ্যিক বা আভ্যন্তরীণ সমস্যা তৈরি হয় তাহলে চুলের উপর তার প্রভাব পড়ে। চুল পড়া, চুল ভেঙে যাওয়া বা পড়ে যাওয়া, শুষ্কতা, নিস্তেজ হওয়া এবং চুল পেকে যাওয়া তখন নিত্যনৈমিত্তিক সমস্যা হয়ে যায়। ঋতু পরিবর্তন হলে, অতিমাত্রায় মশলাদার এবং প্রিজারভেটিভযুক্ত খাবার খেলেও চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে। স্বাস্থ্যকর চুল পেতে তাই সাহায্য নিতে হবে আয়ুর্বেদের। রইল কয়েকটি প্রয়োজনীয় টিপস।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য
ভাজাভুজি এবং প্রিজারভেটিভ দেওয়া খাবার নয়, প্রতিদিন সুষম খাবার খেতে হবে। যাতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
হোলিস্টিক লাইফস্টাইল
চুলের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় আয়ুর্বেদিক ভেষজ হল ভৃঙ্গরাজ, শিকাকাই, তিল, নারকেল, আমলা এবং মেথি। চুলের যত্নে এই ভেষজগুলো ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: চুমুক দিতে দিতেই রূপচর্চায় কাজে লাগান চা, ফল পাবেন হাতে-নাতে
শিরোঅভ্যাঙ্গম
এটি হল মাথা মাসাজ করার একটা উপায়। এটি চুল যত্নে রাখতে সাহায্য করে এবং মন ও শরীরকে শিথিল করে স্ক্যাল্পে পুষ্টি যোগায়।
পদ্ধতি: ১) একটি কাঁসার বাটিতে ডবল বয়লার পদ্ধতিতে তেল গরম করতে হবে, এতে চুলের ফলিকলে ভেষজগুণ গিয়ে পৌঁছবে। ২) চুলকে ভাগ করে নিয়ে তেল লাগাতে হবে। তার পরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং স্ক্যাল্প শিথিল করতে আঙুল দিয়ে মাসাজ করতে হবে। ৩) সালফেট এবং প্যারাবেন-মুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়ার আগে এই তেলটি কমপক্ষে ৪৫ মাথায় রেখে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ঋতুস্রাবের সময় স্বমেহন কেন করা ভাল, জানুন কারণ
হেয়ার মাস্ক
আধ কাপ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগাতে হবে। এক রাত রেখে পরের দিন ধুয়ে ফেলতে হবে। মেথির বীজের সঙ্গে চূর্ণ করা তাজা জবার পাতাও ব্যবহার করা যায়, ১৫-২০ মিনিটের জন্য এটা মাথায় মেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। খুশকি এবং সিজনাল ইনফেকশনের মতো স্ক্যাল্পের সমস্যা মোকাবিলায় নিম পাতার রস ছেঁকে চুল ধুতে হবে।
চুলের সুরক্ষার জন্য, শরীরে ত্রিদোষের ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে, কারণ যে কোনও বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ সমস্যা চুল পড়া বাড়িয়ে দেয়। আয়ুর্বেদিক গ্রন্থে উল্লেখিত চুলের যত্নের কয়েকটি টিপস দেওয়া হল:
১) কখনওই গরম জল দিয়ে চুল ধুতে নেই; চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং গোড়া শক্ত করতে ঠান্ডা বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার জল নিতে হবে। ২) হেয়ার ড্রায়ার নয়, প্রাকৃতিক উপায়ে চুল শুকোতে হবে। ৩) ভেজা অবস্থায় কখনই চুল আঁচড়াতে নেই। কারণ এই সময়ে চুলগুলো সবচেয়ে দুর্বল থাকে। পরিবর্তে, শুষ্ক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে একটি কাঠের চিরুনি ব্যবহার করতে হবে। ৪) মাথা ধোয়ার আগে চুলে সবসময় আয়ুর্বেদিক হেয়ার অয়েল দিতে হবে। ৫) অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ভেষজ দিয়ে চুল ধুয়ে স্ক্যাল্প পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Hairfall