প্রকৃতি আপন নিয়মে চরিত্র বদলায়। গ্রীষ্ম থেকে বর্যা, শরৎ থেকে শীত- তার রূপরাজি অফুরান। সবকটাই যে আমাদের পক্ষে সহনীয় এমনটা বলা যাবে না। কিন্তু একথা বলতেই হয় যে প্রকৃতি অসহনীয় হয়ে উঠলে আমাদের রক্ষার উপাদানও সযত্নে লুকিয়ে রাখে আঁচলে। গরমে যেমন বেল ফল। সংস্কৃতে বিল্ব এবং লোকমুখে শ্রীফল নামে পরিচিত এই বেলের গুণসমূহ অতুলনীয়। বিশেষ করে গরমে শরীর শীতল রাখতে এবং গ্রীষ্মকালীন নানা অসুখ থেকে আমাদের রক্ষা করতে এটি অদ্বিতীয়। দেখাও মেলে এর গরম পড়ার আগেই, যে কারণে চৈত্রে নীলপুজোর সময়ে শিবকে নিবেদন করে এই ফল মুখে দেয় বাঙালি। কিন্তু সেখানেই থেমে গেলে চলবে না। গরমের সবকটি দিনই যদি একগ্লাস করে বেলের পানা সঙ্গে রাখা যায়, তাহলে তা কতটা লাভজনক হতে পারে, সেকথা এবার আমাদের জানাচ্ছেন বিশিষ্ট আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা, বিনয় কুল্লার।
শরীর খারাপে বেল
ডা. কুল্লার জানিয়েছেন যে প্রচণ্ড গরমে অনেকের নাক দিয়ে রক্ত ঝরে, নিয়মিত বেলের সরবত পান করলে এই সমস্যার নিরাময় হয়। তবে গরমে যে অসুখ আমাদের প্রায় সবাইকেই ভোগায়, সেই ডায়রিয়ার হাত থেকেও সহজেই আমাদের রক্ষা করে বেল ফল। কেন না, এটি শরীর, বিশেষ করে পেট ঠান্ডা রাখে। ফলে, হজমের গোলমাল বা পেটখারাপ হওয়ার সম্ভাবনাই থাকে না। কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকেও মুক্তি দেয় এই ফল। বিশেষ করে ডায়রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেলে, মলের সঙ্গে রক্তপাত শুরু হলে লহমায় সমস্যা সমাধান করে বেল। ডা. কুল্লার বলছেন যে এমন হলে রোগীকে বেলের শাঁস গরম করে গুড় মিশিয়ে খাওয়াতে, আর কোনও ওষুধের প্রয়োজন হবে না।
স্বাদে-আহ্লাদে বেল
বেলের এই অতুলনীয় গুণের কথা সর্বজনবিদিত। তা শুধু খাওয়াই নয়, বিক্রি করাও যে কত লাভদায়ক, সেকথা অকুণ্ঠে জানিয়েছেন দেহরাদুনের বেলের পানা বিক্রেতা ইরশাদ। গরমকালে এর চাহিদা যে অত্যন্ত বেশি, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। বলেছেন, উত্তাপের হাত থেকে শরীর বাঁচাতে হলে এর চেয়ে ভাল প্রতিকার আর কিছু হয় না।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।