#ভিয়েনা: হাঁচি, কাশি যেমন স্বতস্ফূর্ত, তার বেগ যেমন চট করে আটকানো যায় না, বাতকর্মকেও ফেলতে হয় এক দলে। পাবলিক প্লেসে একজনের বাতকর্ম অবশ্য হাঁচি বা কাশির চেয়ে দুর্গন্ধের কারণে অনেক বেশি অসুবিধায় ফেলে অন্যদের। তবে সম্প্রতি এই শারীরিক কর্মকাণ্ডটি ঘিরে যে ঘটনা রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বিশ্বে এবং সংবাদমাধ্যমে, তার অভিঘাত বাতকর্মের তীব্র শব্দের মতোই অস্বস্তিদায়ক!
মূল ঘটনাটি অবশ্য গত বছরের। অস্ট্রিয়ার পুলিশ জানিয়েছিল যে এক ব্যক্তি এক পার্কের এক বেঞ্চে বসেছিলেন নিজের মতো। উঠে যাওয়ার সময়ে তিনি ওই পুলিশকর্মীর দিকে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে তাকান, তার পর সশব্দে তাঁকে লক্ষ্য করে বায়ুত্যাগ করেন। পুলিশের মতে এটি স্বতস্ফূর্ত ঘটনা নয়, এভাবে বাতকর্মের মাধ্যমে ওই ব্যক্তি ইঙ্গিতপূর্ণ এবং অশালীন বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলেন। ফলে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে এবং ৫০০ ইউরো, ভারতীয় মুদ্রায় ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করে। ঘটনাটি আদালতেও ওঠে।
আর তার পরেই দেখতে দেখতে আদালতে ঘটনাটি চলে যায় ওই নাম প্রকাশিত না হওয়া ব্যক্তির পক্ষে। তিনি আদালতে এই বলে সওয়াল করেন যে বাতকর্ম একটি স্বতস্ফূর্ত প্রক্রিয়া, বেগ তীব্র হলে তা আটকে রাখা যায় না। তেমনই শারীরিক এই কর্মকাণ্ড ব্যক্তিস্বাধীনতার মধ্যেও পড়ে, এর জন্য কাউকে যদি প্রশাসন জরিমানা দিতে বাধ্য করে, তাহলে তা হবে ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।
আদালত অবশ্য এই ব্যক্তির বক্তব্যকে আংশিক হলেও সম্প্রতি সমর্থন করেছে। ডেইলি মেলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী আপাতত এক ধাক্কায় কমে এসেছে জরিমানার পরিমাণ। এখন আদালতের নির্দেশ অনুসারে এই ব্যক্তিকে জরিমানা দিতে হবে মাত্র ১০০ ইউরো, ভারতীয় মুদ্রায় ৮৮৯২ টাকা। ঠিক কোন যুক্তিকে অবলম্বন করে আদালত এই জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে দিল?
জানা গিয়েছে যে আদালত তার রায়ে সবার প্রথমে পুলিশকর্মীর অভিযোগকে খারিজ করে দিয়েছে। জানিয়েছে যে শব্দের মাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা মানুষ একে অন্যকে পাঠিয়ে থাকে ঠিকই, কিন্তু বাতকর্মের শব্দকে এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। ফলে, এই দিক থেকে বিচার করলে অভিযুক্তের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা নেওয়া অন্যায়। তবে আদালতের মত- জনসমক্ষে সশব্দে বায়ুত্যাগ অশালীনতা, সে কারণেই সামান্য হলেও জরিমানা দিতে হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।