#আফ্রিকা: ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত সোমবার প্রকাশিত একটি সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, এশিয়াতে বংশবৃদ্ধি করা একধরণের মশার প্রজাতি কয়েক হাজার বছর ধরে, আফ্রিকা মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে সেখানকার নাগরিকদের ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত করছে।
ম্যালেরিয়া সেই মারণ রোগ যা ২০১৮ সালে আফ্রিকার ৪০০,০০০ মানুষকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছিল যাদের মধ্যে অধিকাংশ ছিল শিশু। Anopheles gambiae মশার প্রজাতি আফ্রিকায় ম্যালেরিয়া ছড়িয়ে দেওয়ার প্রধান কারণ। কিন্তু এই মশার বিশেষ প্রজাতি শহরের নোংরা জমা জল অপছন্দ করে এবং শহরাঞ্চলের পরিষ্কার জমা জলেও ডিম পারে না। এই কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আফ্রিকার গ্রামগুলি ম্যালেরিয়ার বাসা হয়ে উঠেছে।
গবেষণায় উঠে এসেছে Anopheles stephensi নামে আরও এক মশার প্রজাতির নাম, যাদের মূল বাসস্থান এশিয়ায়। এই মশার প্রজাতি ইট-সিমেন্ট দিয়ে বানানো জলের ট্যাঙ্কের ফাটল দিয়ে ভেতরে ঢুকে ডিম পারতেও সক্ষম। এরই মশার প্রজাতির কারণেই, আফ্রিকার জিবাউটি শহরে যেখানে ম্যালেরিয়া প্রায় ছিল না বললেই চলে, সেখানে এই রোগ ২০১২ সালে মহামারীর আকার নেয়। এরপর ইথিওপিয়া, সুদানেও তা ছড়িয়ে যায়। গবেষণায় জানা গিয়েছে, এই মশার প্রজাতি শহরের ঘনসন্নিবিষ্ট জায়গা যেখানে গরম বেশি এবং বৃষ্টি যথেষ্ট হয় সেখানে বংশবিস্তার করতে ভালো পারে। আফ্রিকার ৪৪ টি শহর বর্তমানে এই মশাদের প্রিয় বাসস্থান। আফ্রিকার মশারা রাতে চারিদিক ঠান্ডা হয়ে আসার পর মানুষকে কামড়ায়। কিন্তু Anopheles stephens সন্ধ্যাবেলায় যখন গরম থাকে সেইসময় কামড়ায়, বলতে গেলে মশারি সেইসময় কোনও কাজেই আসে না। এই মশার থেকে রক্ষা পাওয়ার সঠিক উপায়, শরীর ঢেকে রাখা, ঘরের দেওয়াল কীটনাশক তরল দিয়ে ভিজিয়ে রাখা।
গবেষকদের মতে মশার লার্ভা নষ্ট করতে গেলে, জমানো জল ফেলে দেওয়া দরকার, এবং শক্তপোক্ত জলের ট্যাঙ্ক বানানো প্রয়োজন যাতে কোনও ফাটল না ধরে এবং মশার দল বংশবিস্তার না করতে পারে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।