#নিউইয়র্ক: প্রচলিত পদ্ধতি থেকে একটু দূরে গিয়ে এক নতুন পথে হাঁটার চেষ্টা করলেন এক দল গবেষক। AC-এর পরিবর্তে ব়েডিয়েন্ট কুলিং পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে খুলে দিলেন এক নতুন দিগন্ত। গবেষকদের দাবি, ব়েডিয়েন্ট কুলিং সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে সংক্রমণ রোখার পাশাপাশি করা যাবে শক্তি সঞ্চয়ও।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রীতিমতো ধুঁকছে ভারত। গবেষকরা বলছেন, বাইরের ও ঘরের বাতাসও সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। আর ঠিক এই জায়গায় ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলম্বিয়ার (University of British Columbia) একদল গবেষক একটু আলাদা কথা বলছেন। AC-এর বদলে বিকল্প কোনও পন্থার কথা ভাবছেন তাঁরা। নতুন এই গবেষণায় বলা হয়েছে, শীততাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এমন ডিভাইজগুলিকেই ভিন্নভাবে কাজে লাগিয়ে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করা যেতে পারে।
ইতিমধ্যে গবেষকরা ৬০টি জনবহুল শহরে এয়ার কন্ডিশনিংয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একটি সমীক্ষা শুরু করে। বিশেষ করে কারোনা রোগীদের ক্ষেত্রে বায়ু চলাচল ও অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে। সেক্ষেত্রে এয়ার কন্ডিশনিংয়ের ফলে বহু তেজস্ক্রিয় কেমিক্যাল বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয়। গবেষকদের কথায়, তেজস্ক্রিয়তা হ্রাস করে এবং ঘরের শীতলতার মাত্রা ঠিক রেখে একটি বিকল্প প্রযুক্তির উদ্ভাবন করা যেতে পারে। এটি সংক্রমণ রোধে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শক্তি সঞ্চয়ে সাহায্য করতে পারে।
বলা বাহুল্য, এই প্রযুক্তি বিকল্প প্রক্রিয়ায় একটি আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করতেও সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়িক ও শিল্পক্ষেত্রের জন্য তৈরি বিল্ডিংগুলিতে করোনা ও অন্যান্য ভাইরাস ঘটিত রোগের ঝুঁকিও কমতে পারে। এ নিয়ে বিশদে জানাচ্ছেন ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলম্বিয়া-র অধ্যাপক অ্যাডাম রিসানেক (Adam Rysanek)। তাঁর বক্তব্য, যদি ঘরের তাজা বাতাসের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য প্রচলিত HVAC সিস্টেমগুলিতে নির্ভর করতে হয়, তাহলে শক্তির খরচের পাশাপাশি ব্যয়ের পরিমাণও বাড়বে। কারণ এটিই প্রচলিত HVAC-এর প্রকৃতি। এক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে ব়েডিয়েন্ট কুলিং সিস্টেমের উপর।
নতুন এই কুলিং পদ্ধতিতে বাইরের গরম আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দরজা-জানালা খোলা রাখা যাবে। এর জেরে পর্যাপ্ত পরিমাণে কুলিংয়ের পাশাপাশি করোনা সুরক্ষা বাড়ানোর সম্ভাবনাও রয়েছে। গবেষকরা সিঙ্গাপুরের আর্দ্র অঞ্চলে এর পরীক্ষা করেছেন। আর এই পরীক্ষা সফলও হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এর পর টরেন্টো, বেজিং, মিয়ামি, প্যারিস সহ একাধিক জায়গায় এই পরীক্ষা হবে। এর পিছনে বিশেষ একটি কারণও রয়েছে। আসলে এই অঞ্চলে গ্রীষ্মের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। তাই পরীক্ষাটির জন্য একটি আদর্শ জায়গা পাওয়া যাবে। বিজ্ঞানীদের বার্তা, এই নতুন আবিষ্কার ফলপ্রসূ হলে ব্যবসা ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে যেতে পারে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, COVID-19