এক দিকে যখন করোনার সঙ্গে লড়ছে দেশ, তখন অন্য দিকে আতঙ্ক বাড়িয়ে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ছেয়ে গিয়েছে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু। আপাতদৃষ্টিতে এই রোগের উপসর্গ করোনার মতোই অর্থাৎ রেসপিরেটরি সমস্যা এবং জ্বর। ফলে সহজেই এই রোগ চেনা সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার পাখির মৃত্যু হয়েছে রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও হিমাচলপ্রদেশে।
এই রোগের নির্দিষ্ট কোনও উপসর্গ বা চিকিৎসা না থাকলেও বিশেষজ্ঞরা এবং গবেষকরা বলছেন, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা থাকলেই এই রোগ সারিয়ে তোলা সম্ভব হবে। তার জন্য আমাদের লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনতে হবে এবং ডায়েটে নজর দিতে হবে।
এক্ষেত্রে বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললে এই রোগকে দূরে সরিয়ে দেওয়া যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক পূজা কোহলি। তাঁর কথায়, ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুরু হওয়ায়, বেশিরভাগ চাকরিজীবীকেই সময়ের অতিরিক্ত কাজ করতে হচ্ছে এবং অনেকেই তার জন্য রাতভর জেগেও কাজ করে থাকেন। তাই এই সব ক্ষেত্রে আমাদের লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনা অত্যন্ত প্রয়োজন। ঠিক সময় খাওয়া, ঘুম, রোজ ব্যায়াম ও ধ্যান করা দরকার। আসলে পেটে সঠিক খাবার দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের মনকেও ঠিক রাখতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও মজর দিতে হবে।
এই সব কিছুর পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তিনি কিছু ঘরোয়া টিপস দিয়েছেন-
১) ডায়েটে ভেষজ বেশি পরিমাণে রাখা যেতে পারে- আদা, রসুন বা হলুদ জাতীয় ভেষজ, যা প্রাকৃতিক ভাবে আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তা ডায়েটে রাখা যেতে পারে। এই ভেষজগুলি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি সংক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে।
২) নাকে তেল দিলে রেসপিরেটরি সিস্টেম ভালো থাকতে পারে- চিকিৎসক বলছেন, প্রতি দিন সকালে নাকের দু'দিকেই দু-এক ফোঁটা তেল দিলে রেসপিরেটরি সিস্টেম ভালো থাকে। এর পাশাপাশি উষ্ণ গরম জল, তাতে সামান্য নুন ও হলুদ দিয়ে গার্গেল করাও যেতে পারে। এই জলই ফুটিয়ে এর ভাপও নেওয়া যেতে পারে। এগুলি টক্সিক বের করে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩) চ্যবনপ্রাশ দিয়ে দিন শুরু করুন- প্রতি দিন সকালে এক চামচ করে চ্যবনপ্রাশ খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে। পাশাপাশি রেসপিরেটরি সিস্টেমও ভালো থাকে।
৪) হলুদ দুধ- ঘুমোতে যাওয়ার আগে রোজ দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেলে ঘুম ভালো হতে পারে। পাশাপাশি জ্বর বা সর্দি, কাশি হলে তা ঠিক হয়ে যেতে পারে।