#কলকাতা: লেখার একেবারে শুরুতেই দু'টো শব্দর মানে একটু হলেও বিশ্লেষণ করে নিতে হবে। শব্দদু'টোর মধ্যে একটা হল অর্গ্যানিক আর অন্যটা হল ন্যাচারাল। কিন্তু রূপচর্চার প্রসঙ্গে ভাষাতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা কেন?
কেন না, এটা কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না যে বাজারচলতি হরেক প্রসাধনীর চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের পক্ষে অনেক বেশি ভালো। আবার অর্গ্যানিক প্রসাধনী এবং ন্যাচারাল প্রসাধনীরও মূল সম্পদ ওই ত্বকের পক্ষে ভালো অনেক কিছু প্রাকৃতিক উপাদান। তাহলে দু'টো ঠিক কোন জায়গায় গিয়ে আলাদা হয়ে যায়?
সেই কথাটাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন রিফ্রেশ বটানিক্যালস-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ডিরেক্টর জগবীর সিং। তিনি জানিয়েছেন যে এই দুই ক্ষেত্রেই কোনও রকমের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু ন্যাচারাল উপাদান যেখানে সরাসরি ব্যবহার করা হয় রূপচর্চার ক্ষেত্রে, সেখানে অর্গ্যানিক প্রসাধনী তৈরিতে উপাদানগুলোর মৌল বা নির্যাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফলে তা অনেক তাড়াতাড়ি উপকারে আসে।
এই প্রসঙ্গে জগবীর অর্গ্যানিক প্রসাধনী নিয়ে প্রচলিত কয়েকটি ভ্রান্ত ধারণার কথা উল্লেখ করেছেন। একে একে দেখে নেওয়া যাক সেগুলো!
১. ঘরোয়া রূপটান বেশি উপকারী
কখনই নয়, সাফ জানাচ্ছেন জগবীর। কেন না, ঘরোয়া রূপটানে ব্যবহার করা হচ্ছে ন্যাচারাল উপাদান। কিন্তু অর্গ্যানিকে ব্যবহৃত হচ্ছে মৌল বা নির্যাস। তাই এটি ত্বকের পক্ষে অনেক বেশি উপকারী।
২. অর্গ্যানিক প্রসাধনীতে কাজ হয় দেরিতে
জগবীর জানিয়েছেন যে অর্গ্যানিক প্রসাধনীর ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল করতে হলে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয় না, মাসখানেকের মধ্যেই ত্বকে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
৩. অর্গ্যানিক প্রসাধনী সংরক্ষণ করা সমস্যার
আদপেই নয়, বলতে ভুলছেন না জগবীর। শুধু জানিয়ে দিচ্ছেন একটা কথা, অর্গ্যানিক প্রসাধনী এয়ারটাইট পদ্ধতিতে কন্টেইনারে ভরা হয়, কেনার সময় সেটুকু দেখে নিলেই তার সংরক্ষণ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হতে হবে না।
পাশাপাশি আরেকটা কথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি জগবীর। অনেকেরই ধারণা আছে যে পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণে ত্বক ভালো থাকে। এটা অর্ধসত্য, কেন না বাইরের ধুলো-ময়লার হাত থেকে ত্বককে শরীরে যাওয়া খাদ্যের পুষ্টিগুণ রক্ষা করতে পারে না। তাই ইচ্ছা হলে ত্বকের চর্চার জন্য অর্গ্যানিক প্রসাধনী ব্যবহার করে দেখা যেতেই পারে, জানিয়েছেন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।