#কলকাতা: ছোটবেলা থেকে বড়দের সাবধান বাণী শুনে এসেছেন অনেকেই। সেটা কী? এক গ্লাস দুধ ঢকঢক করে পান না করলেই বিপদ! কিন্তু এখন সেই সাবধান বাণী গিয়েছে পাল্টে। খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে দুধ এবং দুধের প্রোডাক্ট প্রতিদিনের ডায়েটে রাখলেই বিপদ। অর্থাৎ শক্তির জন্য দুধ না খেলেও চলে। বরং দুগ্ধমুক্ত ডায়েটই অনেকে রাখছেন পছন্দের তালিকায়।
ডেয়ারি মুক্ত ডায়েট আর ল্যাকটোজ মুক্ত ডায়েট কি এক?
একেবারেই নয়। ল্যাকটোজ হল প্রাকৃতিক চিনি যা দুগ্ধজাত দ্রব্যে পাওয়া যায় এবং 'ল্যাকটোজ-মুক্ত' শব্দটি ইঙ্গিত করে যে খাদ্য বস্তু উৎপাদন প্রক্রিয়ার সময় ল্যাকটোজ বা চিনির উপাদানটি সরানো হয়েছে। যদিও দুগ্ধ-মুক্ত শব্দের অর্থ 'যে কিছুতে দুগ্ধ বা দুধ নেই'।
আরও পড়ুন: মোজার কালো ছোপ নিয়ে জেরবার? রইল ৫ টিপস, ১০ মিনিটেই হবে ঝকঝকে পরিস্কার
ওজন কমাতে পারে:
দুধ ছাড়া ডায়েট গ্রহণ করলে ওজন কম হতে পারে। কারণ বেশিরভাগ দুগ্ধজাত পণ্যে খুব বেশি পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং চিনি থাকে, যেমন- পনির, দই এবং এমনকী আইসক্রিমেও ফ্যাট ও চিনি থাকে। উচ্চ পরিমাণে চিনি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে স্থূলতা এবং প্রদাহের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। একবার দুগ্ধ-মুক্ত খাদ্য গ্রহণ শুরু করলে, এক সপ্তাহের মধ্যে শরীরের পার্থক্য দেখতে পাওয়া যাবে।
পেট ভাল রাখে:
দুগ্ধজাত খাবারকে প্রায়ই খারাপ বলা হয় কারণ এগুলো মানুষের পেটের বিভিন্ন সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, পেট খারাপ এবং ফোলা ইত্যাদি তৈরি করে। দুগ্ধমুক্ত খাদ্য গ্রহণ করলে, পেট ভালো থাকে এবং পেটের সমস্যাও কম হয়।
আরও পড়ুন: কোন ৫ সুগন্ধি ফুলে সাজাবেন আপনার সাধের ছোট্ট ব্যালকনি? দেখে নিন...
ত্বক ভাল থাকে:
গবেষণা বলছে যে দুগ্ধজাত খাদ্য বেশি খেলে ত্বক ব্রনপ্রবণ হয়ে যেতে পারে। এটি পশুর দুধে উপস্থিত গ্রোথ হরমোনের জন্য হতে পারে। ডেয়ারি ফ্রি ডায়েটে অভ্যস্ত হয়ে গেলে ত্বক উজ্জ্বল ও ব্রনহীন হয়ে যাবে।
অ্যালার্জি হয় না:
অনেক সময়ে, দুগ্ধজাত দ্রব্য থেকে অ্যালার্জি, চুলকানি, এমনকী বমি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় এই অ্যালার্জি বেদনাদায়ক হতে পারে। ত্বকের এই অ্যালার্জি এড়াতে উদ্ভিজ্জ দুধ গ্রহণ করা যেতে পারে।
পিএইচ সমতা রাখে:
দুগ্ধজাত পণ্য অন্ত্রের প্রাকৃতিক pH ভারসাম্য নষ্ট করে। অন্ত্রে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে অ্যাসিড রিফ্লাক্স সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, দুগ্ধজাত খাবার বেশি খেলে গ্যাস্ট্রো-ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) হতে পারে। দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া বন্ধ করে দিলে তখন শরীরের pH মাত্রা ঠিক থাকে।
বিকল্প:
সয়া দুধ, নারকেল দুধ থেকে আমন্ড দুধ এবং কাজু দুধ ইত্যাদি পান করা যায়।
তবে ডায়েট থেকে দুধ একেবারে বাদ দিলে থাইরয়েড ও হাড়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যে কোনও ডায়েট বেছে নেওয়ার আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Milk