#কলকাতা: ''শিক্ষারত্ন'' পুরষ্কারে ভূষিত হলেন মহেশতলার গণিপুর শীতলাতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ডাঃ সুজীব কর। সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা সক্রিয়, তারা প্রত্যেকেই জানান, প্রতিনিয়ত কখনও ভূমিকম্প, কখনও বৃষ্টিপাত, কখনও আবার আবহাওয়ার চরিত্রগত পরিবর্তনের মতো একাধিক বিষয় নিয়ে রীতিমতো তিনি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন৷ আর প্রতি ক্ষেত্রেই সেই সব আগাম ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যায়৷ সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যের অন্যতম বড় ঘটনা, কলকাতা শহরের বউবাজারে মেট্রো সুড়ঙ্গ বানাতে গিয়ে ধস নামে। ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়ি৷ ধুলোয় মিশিয়ে যায় ঐতিহ্যশালী বাড়ি। ধস বাঁচিয়ে কীভাবে কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারা যায়, তা নিয়ে তাঁর থেকে পরামর্শ নিয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ৷
সেই ডাঃ সুজীব কর'কে শিক্ষারত্ন পুরষ্কার দিয়ে সম্মান জানিয়েছে রাজ্য সরকার। বউবাজারের ঘটনা বলতে গিয়ে, কলকাতার মাটির চরিত্র বলছিলেন সুজীব বাবু৷ বউবাজারের সমাধান খুঁজে বের করতে হিমশিম খেতে হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ারদের। নিয়োগ করতে হয় দেশ-বিদেশের এক্সপার্টদের৷ তবে সুজীববাবুর গবেষণার হাত ধরেই মেলে সমাধানের পথ। আসলে কলকাতা শহরে কেন এত ধস নামে তা নিয়ে তিনি আগেই গবেষণা করেছিলেন। বউবাজার এলাকায় মাটির নীচে জলস্তর বা অ্যাকুইফার রয়েছে। সেটা কীভাবে প্রকল্পের ক্ষতি করতে পারে তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। ধস এড়িয়ে কীভাবে কাজ করা যাবে, তিনি তার স্কুলে বসেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মেট্রো ইঞ্জিনিয়ারদের। তারপরেই কাজ শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: 'যোগ্য মন্ত্রী' ব্রাত্য বসুকে দরাজ সার্টিফিকেট বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রতর! কেন?
আপাতত আর কোনও সমস্যা হয়নি বউবাজারে।তবে শুধু বউবাজার নয়, শিক্ষক হিসাবেও নিজের স্কুলের পরিকাঠামো ঢেলে সাজিয়েছেন সুজীব বাবু। বিদ্যালয় জুড়ে পড়ুয়াদের মানবিক বিকাশের কাজও তিনি করেছেন। এই সব কাজের জন্যে তার বিদ্যালয় আলাদা পরিচয় গড়ে তুলেছে গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগণায়৷ তাই সুজীব বাবুর গবেষণা। তার জ্ঞান। কাজে লেগেছে সমাজের সব স্তরের মানুষের।বহু ক্ষেত্রে ডাঃ সুজীব করের গবেষণা প্রশাসনের কাছে মুশকিল আসান হয়ে গিয়েছে। তবে যাকে নিয়ে এত কান্ড তিনি অবশ্য গোটা বিষয়টি নিয়ে ভীষণ রকম নিরুত্তর৷ তার কথায়, "শিক্ষকদের কাজ আগামী প্রজন্মকে গঠন করা৷ আমি আমার কাজ করেছি৷ আশা করব এই কাজ দেখে উপকৃত হবেন আগামী দিনে ছাত্র-ছাত্রীরা৷"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।