ARUP DUTTA
#কলকাতা: ডাকঘরে পোস্টকার্ডের আকালে আটকে মোদির অভিনন্দন বার্তা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে ১ কোটি পোস্টকার্ড পাঠাবে রাজ্য বিজেপি। কিন্তু, সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গিয়ে শুরুতেই হোঁচট খেল বিজেপি। রাজ্যের ডাকঘরগুলিতে পোস্টকার্ড কিনতে গিয়ে চোখ কপালে উঠেছে বিজেপি নেতাদের। পোস্টকার্ডের আকাল প্রায় সব ডাকঘরেই। এদিকে, নতুন বছরে শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীকে শুভকামনা ও অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছে রাজ্য বিজেপি। কলকাতায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে সভা করার পর, দলীয় পদাধিকারিদের সঙ্গে বৈঠকে এই কর্মসূচি রূপায়নের নির্দেশ দিয়েছেন সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডা। দলের তরফে রাজ্য বিজেপির উদ্বাস্তু সেলকে এর দায়িত্ব দেওয়া হলেও এখন পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নামতে হচ্ছে রাজ্য নেতৃত্বকে। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর মতে, ‘জেলা থেকে এই সমস্যার কথা তাদের জানানোর পর আমরা পোস্টমাস্টার জেনারেলের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি। আসলে, পোস্টকার্ড তো এখন আর সেভাবে ব্যবহার প্রায় উঠেই গিয়েছে। তাই পোস্টকার্ডের চাহিদাও কম। সে কারনে বাজারের নিয়ম মেনেই পোস্টকার্ড ছাপা হয় কম। ফলে ভাঁটার টান ডাকঘরগুলিতে। তবে, পোস্টমাস্টার জেনারেলের তরফে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি আমাদের চাহিদা মত ১ কোটি পোস্টকার্ড তারা ব্যবস্থা করে দেবেন।’ বিজেপির উদ্বাস্তু সেলের এক নেতার মতে , রাজ্যে প্রায় দেড়কোটি উদ্বাস্তু মানুষকে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা দলের প্রাথমিক লক্ষ্য। উদ্বাস্তু সেলকে এই দায়িত্ব দিয়েছে দল। বিজেপির হিসাবে, প্রায় দেড় কোটি উদ্বাস্তু মানুষ রয়ছেন রাজ্যে। রাজ্যের ৫/৬ টি জেলা বাদ দিয়ে বাকি সব জেলাতেই ছড়িয়ে রয়ছেন একদা ওপার বাংলা থেকে আসা এই উদ্বাস্তুরা। প্রাথমিকভাবে, কেন্দ্রের এই আইনের রাজনৈতিক বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়াই এই কর্মসূচির লক্ষ্য। নদিয়া,উত্তর ২৪ পরগনা থেকে শুরু করে কোচবিহার পর্যন্ত জেলায় জেলায় নাগরিকত্ব আইনের সুফল বোঝাতে মাঠে নামার আগে এটা একটা প্রতীকী বিষয়। তাই পোস্টকার্ড দ্রুত যাতে হাতে পাওয়া যায় তার জন্যই রাজ্যের গেরুয়া শিবির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছে । সায়ন্তনের দাবি, ‘পোস্টকার্ড পাওয়া যাবে। তবে, সেই পোস্টকার্ড সবটাই কলকাতা জিপিও থেকে সংগ্রহ করে জেলায় জেলায় কর্মকর্তাদের কাছে পাঠাতে হবে দলকে। ফলে, এই প্রক্রিয়ায় একটু বেশি সময় লাগবে।’ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, একে বছরের শেষ, নিচু তলায় কর্মীদের মধ্যে এখন একটু ঢিলেঢালা ভাব। তার মধ্যে নতুন এই কর্মসূচির সফল রূপায়ন কতটা সময়মত করা যাবে তা নিয়ে চিন্তিত বিজেপি।নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: BJP, CAA, Citizenship Amendment Act, PM Narendra Modi