অমিত সরকার, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার সিবিআইয়ের নজরে রাজ্যের একাধিক কাউন্সিলর। বিভিন্ন জেলার চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে নিয়োগ কর্তাদের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছেন এমন তথ্য সামনে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এখনও পর্যন্ত এমন ৮০ জনের বেশি কাউন্সিলরের নাম তাদের সামনে এসেছে, যারা নিজেদের এলাকার পরিচিত চাকরি প্রার্থীদের হয়ে সুপারিশ করেছেন। আরও দাবি, কেউ কেউ এমন আছেন যারা নিজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের চাকরির জন্য তদবির করেছেন বলেও তদন্তে উঠে এসেছে।
নিয়োগ দুর্নীতির প্রথম থেকেই জেলাস্তরে কখনও মধ্যস্থতাকারী, কখনও এজেন্টের নাম সামনে এসেছে। এসেছে সুপারিশকারীদের নামও। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলায় জেলায় কাউন্সিলরদের একাংশ সরাসরি নিয়োগ কর্তাদের কাছে সুপারিশ করেছেন তার ঘনিষ্ঠ চাকরি প্রার্থীর জন্য ।
কী ভাবে এই যোগ সূত্র পেল সিবিআই? তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ইতিমধ্যে একাধিক চাকরি প্রার্থীর বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই। তাদের চাকরি কি ভাবে হয়েছিল? কাকে তারা বলেছিলেন চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য? এই সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে সুপারিশকারী হিসেবে উঠে এসেছে কাউন্সিলরদের নাম। সিবিআইয়ের দাবি, এমন অনেক চাকরিপ্রার্থীর বয়ান আছে, যারা বলেছেন চাকরি পাওয়ার জন্য নিজেদের কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
আরও পড়ুন- গাড়ি তো নয়, যেন খাঁটি লোহা! পারিবারিক ছুটিতে যাওয়ার জন্য একেবারে আদর্শ টাটার এই চারচাকা
এছাড়া গত সপ্তাহে উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান এসপি সিনহার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৫০০ চাকরিপ্রার্থীর তালিকা ও নথি। যার মধ্যে থেকে মিলেছে জনা কয়েক কাউন্সিলরের চিঠিও। যা অন্যতম প্রমাণ বলেই মনে করছে সিবিআই। তবে এই সকল কাউন্সিলরদের সঙ্গে কোনও টাকার লেনদেন হয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিবিআই সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত ৮০ জনের কাছাকাছি নাম পাওয়া গিয়েছে ৷ তবে এই দুর্নীতির শিকড় যা ছড়িয়েছে, তাতে আরও বেশি সংখ্যায় জনপ্রতিনিধি যোগ রয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। এর আগে আরও কিছু এজেন্ট, মধ্যস্থতাকারী ও সুপারিশকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।