#কলকাতা: দলে কালো চুলের মাথার অভাব রয়েছে বেশ কয়েকবছর তা নিয়ে আক্ষেপ ছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের। কিন্তু সম্প্রতি করোনা ও আমফান পরিস্থিতিতে দলের তরুণদের 'পারফরম্যান্সে'-ই নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে সিপিআইএম। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তরুণ প্রজন্মের হাতেই পতাকা তুলে দিতে চায় দল ৷
শুক্রবার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে রাজ্য কমিটির বৈঠকে বসে সিপিআইএম। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই প্রথমবার স্ব-শরীরে বৈঠক করা হয়। এর আগে অনলাইনে রাজ্য কমিটির বৈঠকে বিধানসভা নির্বাচনে দলকে প্রস্তুত হতে বলে ভোটের দামামা বাজিয়ে দিয়েছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। এরপর রাজ্য বামফ্রন্ট আলোচনা করে কংগ্রেসের সঙ্গে বৈঠক করে সলতে পাকানোর কাজ শুরু করা হয়। লাগাতার যৌথ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত হয় সেই বৈঠকে। সেই কর্মসূচিতে গতি আনতে এবার বুথস্তর পর্যন্ত কাজ করার কথা বলেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। এবং তাতে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য যুবদের উপরেই আস্থা রাখতে চাইছে নেতৃত্ব ৷
কেন এই রকমের সিদ্ধান্ত? সিপিআইএম-এর রাজ্য কমিটির এক সদস্যের ব্যাখ্যা, "করোনার আগে থেকেই দলের যুবদের একটা তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। এনআরসি, সিএএ বিরোধী আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিল ছাত্র-যুবরা। কিন্তু আন্দোলন দানা বাঁধার আগেই করোনা পরিস্থিতি চলে এল। সেই পরিস্থিতির মধ্যেও এই অংশের প্রতিনিধিত্ব লক্ষণীয় ছিল। কেন্দ্র বা রাজ্যের শাসক দলের কর্মীদের যেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি সেখানে মানুষ এদের কাছ থেকেই সরাসরি পরিষেবা পেয়েছে। কোথাও কমিউনিটি কিচেন খোলা, কোথায় লকডাউনে আটকে পড়া মানুষদের রসদ জোগাড় করে দেওয়া, কখনও বা পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো। এরই মধ্যে চলে এল আমফান ঝড়। সেখানেও শাসকদলের মধ্যে যখন শুধুই রাজনীতি তরজা চলছিল কাজ করে গিয়েছে এরাই। একই সঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন। আবার সোশ্যাল মিডিয়াকেও সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহার করে প্রচার করাতে এরা সিদ্ধহস্ত। এই রকম একটা 'ফোর্স'ই দরকার ছিল দলের। এবং সেটা পাওয়াতেই এই রকম একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া গেল।"
Ujjal Roy
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।