হোম /খবর /কলকাতা /
নাম নিলেন না মমতার, মাথাভাঙা নিয়ে ফের 'স্বমহিমায়' ধনখড়

Jagdeep Dhankhar on Mathabhanga Firing: নাম নিলেন না মমতার, মাথাভাঙা নিয়ে ফের 'স্বমহিমায়' ধনখড়

মমতাকে কড়া চিঠি ধনখড়ের৷

মমতাকে কড়া চিঠি ধনখড়ের৷

এ রাজ্যে রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই রাজ্যপাল-রাজ্য সরকার সংঘাত লেগেই রয়েছে। এবার মাথাভাঙার ঘটনা নিয়েও আসরে ধনখড়।

  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: নন্দীগ্রামের ভোটের দিন বয়ালের বুথ থেকে তাঁকে ফোন করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকেরই ধারণা হয়েছিল, তবে কি সংঘাত মিটল দু'তরফে? কিন্তু রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় যে কোনওভাবেই নিজের 'ক্ষমতা' প্রয়োগে পিছপা হবেন না, তা বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তাই এ রাজ্যে রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই রাজ্যপাল-রাজ্য সরকার সংঘাত লেগেই রয়েছে। এবার মাথাভাঙার ঘটনা নিয়েও আসরে ধনখড়। ভোটের মাঝে সরাসরি মমতার নাম নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তবে, বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর নিশানায় মমতাই।

এদিন ট্যুইটারে রাজ্যপাল লিখেছেন, 'কোচবিহারের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। গণতন্ত্রে হিংসার কোনও স্থান নেই। এই হিংসার নিন্দা করা উচিত সকলের। এই ধরনের অশান্তি বন্ধ করতে সকলেরই উদ্যোগী হওয়া দরকার।' এরপরই তিনি লেখেন, 'কোচবিহারে হিংসার জেরে প্রাণহানী হল। এই ঘটনা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক ও দুঃখজনক। কিন্তু শাসকের উচিৎ নিজের রাজধর্ম পালন করা। সরকারি কাজে নিযুক্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও আধাসেনার প্রতি সকলের সম্মান দেখানো উচিৎ।' অর্থাৎ, নাম না নিয়েও তিনি সরাসরি নিশানা করলেন 'শাসক' মমতাকেই।

রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের মাঝে মমতার নাম নিয়ে কোনও মন্তব্য করলে বিতর্কে জড়াতে হত রাজ্যপালকে। তাই সুকৌশলে 'শাসক' শব্দ ব্যবহার করেই আক্রমণ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এদিন ফের বাংলায় এসে মাথাভাঙার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উসকানিকেই দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

শান্তিপুরে রোড শো করে শাহ বলেন, 'আপনি শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার কথা বলেছিলেন। আপনার সেই ভাষণ কি এই মৃ্ত্যুর জন্য দায়ী নয়? এই ঘটনা ছাড়া আর কোথাও অশান্তি হয়নি। আপনিই এই ঘটনার জন্য দায়ী। আপনি ক্ষমা চান।' শুধু তাই নয়, মৃত্যুতেও মেরুকরণের অভিযোগ করেছেন তিনি। বলেছেন, 'শীতলকুচিতেই কাল সকালে আনন্দ বর্মনকে খুন করা হয়েছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এটা করেছে। কিন্তু মমতা দিদি চারজনের জন্য শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাচ্ছেন। আনন্দ বর্মনকে নয়। মমতা দিদি এখানেও মেরুকরণের রাজনীতি করছেন। কারণ আনন্দ বর্মন রাজবংশী সম্প্রদায়ের।'

এদিকে এদিন হাসপাতাল থেকে চারজনের মৃতদেহ আসতেই গ্রামবাসীরা সেই ১২৬ নম্বর বুথের সামনেই জড়ো হন। কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা গ্রাম। সকলেই চাইছেন একবার জন্য গ্রামে আসুক মুখ্যমন্ত্রী। যদিও শীতলকুচিতে ৭২ ঘণ্টার জন্য সব নেতা-নেত্রীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন।

Published by:Suman Biswas
First published:

Tags: West Bengal Assembly Election 2021