ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা- বৃত্তিমূলক শিক্ষায় কারিগরি শিক্ষা দফতরের (Vocational Training) পক্ষ থেকে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানালেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কো-অর্ডিনেটররা। তাঁদের বক্তব্য, হাজিরা-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা চালু হলে একদিকে যেমন সরকারি অর্থের অপচয় বন্ধ হবে, পাশাপাশি সঠিক শিক্ষা লাভ করে কর্মসংস্থানের পথ মসৃণ হবে ছাত্রছাত্রীদের।
কলকাতা শহরের এক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তথা ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর তুলসী কুমার প্রধান বললেন, ‘‘অনেক সময়েই আমরা দেখতে পাই যে, প্রশিক্ষকরা নির্দিষ্ট সময় স্কুলে এলেও দেখা মেলে না ছাত্র-ছাত্রীদের। ফলে সরকারের যে উদ্দেশ্য তা পরিপূর্ণ হয় না। তাই বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু হলে আখেরে লাভ হবে পড়ুয়াদেরই।’’ শহরের একটি ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে দেখা গেল, পরিকাঠামো পর্যাপ্ত থাকলেও যে পরিমাণ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ সেন্টারে হাজির থাকা দরকার তার থেকে অনেক কম সংখ্যায় উপস্থিতির হার।
অনেক জায়গায় আবার পড়ুয়া থাকলেও প্রশিক্ষকরা গরহাজির। এতদিন পর্যন্ত প্রশিক্ষণ শেষে শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি না থাকার কারণে অনেকেই দু’বছরের ভোকেশনাল কোর্সে নিয়মিত ক্লাস না করেও পেয়ে যেতেন সার্টিফিকেট বা শংসাপত্র। এবার থেকে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে যে, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ন্যূনতম উপস্থিতির হার ৬০ শতাংশ আছে কি না। থাকলে তবেই দু’বছরের কোর্স শেষে মিলবে শংসাপত্র। নচেৎ নয়।
বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক থেকে শুরু করে প্রশিক্ষকরা বলছেন, ‘‘হাজিরায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হলে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আসার প্রবণতা বাড়বে। সরকারের উদ্দেশ্যও সফল হবে।’’ প্রসঙ্গত রাজ্য সরকারের বিনামূল্যে ভোকেশনাল কোর্স। পড়ুয়া আছে। কিন্তু, সবই কার্যত খাতায় কলমে। ক্লাসে হাজিরা প্রায় নেই। ফলে ছাত্র পিছু রাজ্যের বরাদ্দ টাকা এক প্রকার জলে যাচ্ছে। তাই এবার পড়ুয়াদের হাজিরা নিশ্চিত করতে চালু হচ্ছে বায়োমেট্রিক।
আরও পড়ুন- রাত পোহালেই একুশের সমাবেশ, কলকাতা জুড়ে তুঙ্গে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
বৃত্তিমূলক শিক্ষা। কারিগরি শিক্ষা দফতরের ভোকেশনাল ট্রেনিং। রাজ্য সরকার বিনামূল্যে কোর্স করায়। অনেকেই এই কোর্স করে কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পায়। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে, পড়ুয়া সবই খাতায় কলমে। ক্লাসরুম কার্যত ফাঁকা। ফলে, জলে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ সরকারি টাকা। তাই ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারগুলিতে পড়ুয়াদের উপস্থিতির উপর এবার নজরদারি বাড়াচ্ছে কারিগরি শিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর, শুধু পড়ুয়াদেরই নয়, ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের নজরদারিতে শীঘ্রই চালু হতে চলেছে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: West Bengal Government