#কলকাতা: শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার দুপুরের পর সাময়িক ভাবে পাভলভ হাসপাতালের সুপারের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল দায়িত্বপ্রাপ্ত গণেশ প্রসাদকে। আপাতত ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সুপার অর্ঘ্য মৈত্র পাভলভ হাসপাতালের প্রশাসনিক এবং রোগী পরিষেবা সংক্রান্ত দিক দেখবেন। অন্য দিকে হাসপাতালে অর্থনৈতিক কাজকর্ম ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের একাউন্টস অফিসার দেখবেন। এর আগে, কেন অব্যবস্থা পাভলভ হাসপাতালে, সাত দিনের মধ্যে তার জবাব দেওয়ার নির্দেশ বা শো-কজ করা হয়েছিল রাজ্যের প্রথমসারির মানসিক হাসপাতাল পার্ক সার্কাস, গোবড়ায় অবস্থিত পাভলভ মানসিক হাসপাতালের সুপার গণেশ প্রসাদকে। গতকাল সোমবারই সময়সীমার শেষ দিনে দু-পাতার চিঠি স্বাস্থ্যভবনে পাঠান সুপার গণেশ প্রসাদ। এরপরই মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে জরুরি তলব করা হয় স্বাস্থ্য ভবনে। সেখানেই স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী, সরকারি স্বাস্থ্য অধিকর্তা ( মানসিক স্বাস্থ্য ) ডক্টর দেবাশিষ হালদার সহ-স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চ আধিকারিকরা দীর্ঘক্ষণ পাভলভ মানসিক হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন- বানভাসি অসম! ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১১! অমিত শাহের নির্দেশে পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় দল!আত্মপক্ষ সমর্থনে সুপার তাঁর এবং হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে চক্রান্ত করা হচ্ছে। যদিও সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের উচ্চ আধিকারিকরা সুপারের এই বক্তব্যকে আমল দিতে নারাজ। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম পরিষ্কার ভাষায় জানান," পাভলভ মানসিক হাসপাতালে যে ত্রুটি-বিচ্যুতি পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুযায়ী দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আজ একটি বৈঠক হয়েছে, আগামী পরশু দিন আবার আরও একটি বৈঠক হবে।" যদিও এ দিন স্বাস্থ্য ভবন থেকে বৈঠকের পর সংবাদ মাধ্যমের কোনও প্রশ্নের জবাব না দিয়েই বেরিয়ে যান পাভলভের সুপার গণেশ প্রসাদ।
আরও পড়ুন- সিবিআইয়ের এক তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তদন্ত ভার নিল সিআইডিস্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে পাভলভ মানসিক হাসপাতালে সুপার পদে অধিষ্ঠিত গণেশ প্রসাদকে এবার সরতেই হবে। দীর্ঘদিন ধরে এই পদে থাকায় গোটা হাসপাতালকে তিনি মৌরসি পাট্টায় পরিণত করেছেন। হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতিও সঠিকভাবে কাজ করেনি। মানসিক রোগীদের চিকিৎসা তো দূর অস্ত, তাঁদেরকে গিনিপিগ বানিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাদের খাবার, পোশাক, ওয়ার্ডের অবস্থা শোচনীয়। পশুর থেকেও খারাপ অবস্থায় এখানে রোগীদেরকে থাকতে হয়। গোটা বিষয়টি জেনেও চোখ বন্ধ করে রেখেছিলেন হাসপাতাল সুপার। এমনই তথ্য উঠে এসেছিল স্বাস্থ্য দফতর এর পরিদর্শনে।
Abhijit Cahndaনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Health department