#কলকাতা: গত ২৪ ঘণ্টায় অভিযোগ জমা পড়েছে ৮৭০টি। রেশন নিয়ে তাই কড়া মনোভাব নিচ্ছে রাজ্য সরকার। রেশন কার্ড বা কুপন ছাড়া কেউ রেশন নেওয়ার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য খাদ্য দফতর। লকডাউনের সময় রেশনে খাদ্য সামগ্রী বিলিতে একের পর এক অভিযোগ পাচ্ছে রাজ্য খাদ্য দফতর।
খাদ্য দফতরের ১৮০০-৩৪৫-৫৫০৫ বা ১৯৬৭ টোল ফ্রি নম্বরে অনিয়মের অভিযোগ জানিয়ে ফোন আসছে। খাদ্য দফতর অভিযোগ রেকর্ড করতে ২৪ ঘন্টাই অটো ফোন রেকর্ডের ব্যবস্থা চালু করে দিয়েছে। খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, সবচেয়ে বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে মালদহ জেলা থেকে। অভিযোগকারীদের অধিকাংশের বক্তব্য, রেশনে মিলছে না কিছুই। লুটপাটের অভিযোগ আনছেন তারা। এর পরে অভিযোগ এসেছে উত্তর দিনাজপুর, আসানসোল, জলপাইগুড়ি ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা থেকেও। অভিযোগ উঠছে, ত্রাণ দেওয়ার জন্য শাসকদলের কিছু নেতা রেশন ডিলারদের ওপর চাপ দিচ্ছেন।
একই অভিযোগ উঠেছে বাকি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধেও। খাদ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, "বহু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। রেশন বিলিতে রাজনৈতিক নেতারা যাতে কোনো হস্তক্ষেপ না করতে পারে আমরা তা দেখছি। আমরা এই কারণে নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছি।" খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, আগামীকাল রাজ্যের সমস্ত জেলায় ৬৪ লক্ষ মানুষকে ফূড কুপন দেওয়া হয়ে যাবে। এর ফলে বিনামূল্যে চাল ও গম বিলি করবে রাজ্য সরকার। গ্রাহকদের এক মাসের জন্য চাল দেওয়া হবে। আটা দেওয়া হবে ১৫ দিনের জন্যে। যেহেতু আটার গুণমাণ ২৫ দিনের বেশি স্থায়ী হয় না তাই ১৫ দিনের বেশি খাদ্য সামগ্রী দেওয়া যাবেনা। যদিও অভিযোগ আসছে, একাধিক জেলায় রেশন কার্ড দেখালেও কম পরিমাণে চাল দেওয়া হচ্ছে। বহু জায়গায় গম বা আটা দেওয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় নিয়োগ করা হয়েছে একজন করে ফুড ইন্সপেক্টর।
চা বাগানগুলিতে নজরদারির জন্য নিয়োগ করা হয়েছে একজন করে ইন্সপেক্টর। এরাই রেশনের হিসেব জমা দেবেন রাজ্য খাদ্য দফতরের কাছে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, "আমরা পুলিশকে জানিয়ে রেখেছি। কোথাও এই ধরণের ঘটনা ঘটলে তড়িঘড়ি তারা আইনত ব্যবস্থা নেবেন।" ইতিমধ্যেই ১০ রেশন ডিলারকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। তাদের দোকানে থাকা গ্রাহকদের পাশাপাশি দোকানে ট্যাগ করে দেওয়া হয়েছে। তবে যে ভাবে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ছে তাতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
Abir Ghoshal