হোম /খবর /কলকাতা /
স্ট্রোকে আক্রান্তের চিকিৎসায়'টেলি নিউরোমেডিসিন স্ট্রোক ম্যানেজমেন্ট ইনিশিয়েটিভ'

Kolkata News|| স্ট্রোকে আক্রান্তের চিকিৎসায় নয়া 'টেলি নিউরোমেডিসিন স্ট্রোক ম্যানেজমেন্ট ইনিশিয়েটিভ' পরিষেবা রাজ্যের

স্ট্রোকে আক্রান্তের চিকিৎসায় নয়া উদ্যোগ রাজ্যের।

স্ট্রোকে আক্রান্তের চিকিৎসায় নয়া উদ্যোগ রাজ্যের।

West Bengal government introducing tele medicine stroke management initiative: স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে, প্রথম কয়েকঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। সেই সময়টা যাতে নষ্ট না হয়, তার জন্য বিশেষ টেলি নিউরোমেডিসিন স্ট্রোক ম্যানেজমেন্ট ইনিশিয়েটিভ পরিষেবা চালু হচ্ছে রাজ্যে।

আরও পড়ুন...
  • Last Updated :
  • Share this:

#কলকাতা: স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে, প্রথম কয়েকঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। সেই সময়টা যাতে নষ্ট না হয়, তার জন্য বিশেষ টেলি নিউরোমেডিসিন স্ট্রোক ম্যানেজমেন্ট ইনিশিয়েটিভ পরিষেবা চালু হচ্ছে রাজ্যে। 'হাব অ্যান্ড স্পোক' পদ্ধতিতে এই চিকিৎসা পরিষেবা চালু হচ্ছে। করোনার জন্য এই পরিষেবা শুরু হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে কোনও বড় হাসপাতালকে বলা হয় 'হাব' আর কিছু ছোট হাসপাতালকে বলা হয় 'স্পোক'। স্ট্রোকের জন্য বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স-কে বলা হচ্ছে 'হাব' এবং সাতটি হাসপাতালকে 'স্পোক' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতাল, বেহালা বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, আসানসোল জেলা হাসপাতাল, বারাসাত জেলা হাসপাতাল, বসিরহাট জেলা হাসপাতাল, সিউড়ি জেলা হাসপাতাল, কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতাল, হুগলি চুঁচুড়া ইমামবাড়া মহকুমা হাসপাতাল...এই সাতটি হাসপাতালকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে এখানকার এমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসারকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করা হবে।কলকাতার বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে-কে নিউরো টেলিমেডিসিন হাব বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এখানে ২৪×৭ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উপস্থিত থাকবেন।

আরও পড়ুন: 'কলকাতাকে বিশ্ব সেরা শহর করাই লক্ষ্য', মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় বার শপথ নিলেন ফিরহাদ

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেরি হওয়ায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে প্রথম ৪ ঘণ্টা হয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের মধ্যে চিকিৎসা করানো অত্যন্ত জরুরি। অনেক সময় দেখা যায়, রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়। অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পথে বিপদ হতে পারে। তাই, যেখানে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানেই যাতে চিকিৎসা হয় তার জন্য এই ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন: পার্ক স্ট্রিটের সঙ্গে এবার যুক্ত হতে চলেছে বো-ব্যারাক, বড়দিনের উৎসবে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর  

এই সাত জেলা হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসায় অসুবিধা হলে তাঁরা স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে অন্য হাসপাতালে রেফার না করে বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে যোগাযোগ করবে।সেখানকার চিকিৎসকেরা ভার্চুয়ালি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে কী করা উচিৎ, সেই পরামর্শ দেবেন কী ভাবে রোগীর চিকিৎসা হবে। তা বোঝাতে ওই সাতটি হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসারদের বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হবে। আপাতত এটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুরু হচ্ছে। আগামীতে প্রকল্প সফল হলে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Avijit Chanda

Published by:Shubhagata Dey
First published:

Tags: Kolkata