#কলকাতা: মে মাস মানেই যেন ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার ভয়৷ অন্তত গত কয়েক বছরের প্রবণতা তাই বলছে৷ আমফান, যশ বা অশনি- পরের পর ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হচ্ছে মে মাসেই৷ মে মাসে কেন ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা এত বেশি?
এর একাধিক কারণ দিচ্ছেন আবহবিদরা৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, প্রাক বর্ষার মৌসুমে এপ্রিল এবং মে মাসই ঘূর্ণিঝড়ের উপযুক্ত মরশুম। এর মধ্যে মে মাসে ঘূর্ণিঝড় সবথেকে বেশি হয়।মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ থাকে। বেশ কয়েকটি কারণে উপরে এই ঘূর্ণিঝড় নির্ভর করে। সেগুলি হল-
এছাড়াও লা-লিনা কিংবা গ্লোবাল ওয়ার্মিং- এর জন্য সমুদ্রপৃষ্ঠ ঘূর্ণিঝড়ের উপযুক্ত হতে পারে।
বঙ্গোপসাগরের উপরে এসে অনেক দুর্বল ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপও পুনরায় সজীব হয়ে ওঠে। বিভিন্ন মহাসাগর থেকে বঙ্গোপসাগরের উপরে পৌঁছে কোনও ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে, এরকম উদাহরণ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণিঝড় 'অশনি', ২ জেলায় ৩০ মিনিটের মধ্যেই নামবে কাঁপিয়ে বৃষ্টি
হাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, ২০০৯ সালের মে মাসে আয়লা আছড়ে পড়েছিল। ২০১৯ সালের মে মাসে এসেছিল ঘূর্ণিঝড় ফণি।(যদিও এর প্রভাব বাংলায় কম পড়েছিল)৷ ২০২০ সালের মে মাসে হয় আমফান। ২০২১-এর মে মাসে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস।
অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রাক বর্ষার মরশুমে এপ্রিল ও মে মাসে যেমন ঘূর্ণিঝড় হওয়ার প্রবণতা বেশি, তেমনই অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তবে মে মাসে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ অনেকটাই বেশি হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।