#কলকাতা: খামখেয়ালি বর্ষা। মাথায় হাত কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীদের। ভরা মরশুমে ইলিশ না পেয়ে ভরসা যাগযজ্ঞ। এদিকে, জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। মনখারাপ দিঘা, মন্দারমণির পর্যটকদেরও। এরই মধ্যে বিদ্যাধরীর বাঁধ বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ বিরিঞ্চিবাড়ির মহিলাদের। ম্যানগ্রোভের বীজ পুঁতে অরণ্যসৃজনে নামলেন তাঁরা।
বাসন্তী
আয়লার স্মৃতি এখনও টাটকা। ঝড় উঠলেই সব হারানোর আশঙ্কায় কাঁপে সুন্দরবন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এত বড় দুর্যোগের পরও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। তাই বিদ্যাধরীর বাঁধে ফাটল ধরলেও তা সারানোর কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি। বাধ্য হয়েই কোমর বেঁধেছেন বাসন্তীর বিরিঞ্চিবাড়ি গ্রামের মহিলারা। নদীতে ভেসে আসা ম্যানগ্রোভের ফল সংগ্রহ করে বাঁধ লাগোয়া এলাকায় পুঁতে দিচ্ছেন তাঁরা। স্থানীয়দের আশা, এই ফলের বীজ থেকেই বাড়বে ম্যানগ্রোভ। ঝড়ের হাত থেকে বাঁচবে বাঁধ।
কাকদ্বীপ
সমস্যা মোকাবিলার রাস্তা খুঁজে পেয়েছে বিরিঞ্চিবাড়ি। কিন্তু সমস্যায় কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীরা। ভরা বর্ষাতেও বৃষ্টির আকালে ঘোর বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। ইলিশের মরশুমেও সমুদ্রে থেকে ফিরছে একের পর এক খালি ট্রলার। খরা কাটাতে তাই লঞ্চেই যাগযজ্ঞের আয়োজন।
বৃষ্টির আকাল থাকলেও সমুদ্রে ঝোড়ো হাওয়ার প্রকোপ কমছে না। আগামী কয়েকদিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। পর্যকদের সতর্ক করতে দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুরে চালানো হচ্ছে লাগাতার প্রচার।