#কলকাতা: নিউ নরমাল পুজোয় এবার অন্য চেহারায় বেলুড় মঠ। আজ থেকে মঠে প্রবেশ নিষিদ্ধ দর্শনার্থীদের। যদিও এই সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। এবার আদালতের রায় মেনে বেলুড় মঠে পুজোর জায়গায় থাকতে পারবেন মাত্র ১৫ জন। তবে মঠের বাকি সদস্যরা পুজো স্থানের প্রায় ১৫ ফুট দূর থেকে পুজো দেখবেন। মহাষষ্ঠীর সকাল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে এই ব্যবস্থা। বেলুড় মঠে প্রথম পুজো শুরু করা হয় ১৯০১ সালে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই পুজো শুরু করেন। কথিত আছে পুজোর অল্প কিছু দিন আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মঠে পুজো হবে। তার জন্যে প্রতিমা আনতে গিয়েও এক কান্ড ঘটে। সেই সময়ের কুমারটুলিতে সব প্রতিমা বায়না আগেই হয়ে গিয়েছিল। একটি প্রতিমা বায়না দেওয়া হলেও নিয়ে যাওয়া হয়নি। সেই প্রতিমা বরণ করে নিয়ে আসা হয় মঠে। আর তা দিয়েই শুরু হয় বেলুড় মঠের দূর্গা পুজো।
১৯৪২ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত মূল মন্দিরে পুজো হয়েছে। তার পরে পুজো হয়েছে মূল মন্দিরের সামনের মাঠে। এবার ফের পুজো হচ্ছে মূল মন্দিরের মধ্যেই। পুরোহিত, তন্ত্রধারক, প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাধারণ সম্পাদক ও সন্ন্যাসী, ব্রক্ষ্মচারী মিলিয়ে ১৫ জন এই পুজোয় সামনে থেকে উপস্থিত থাকবেন। ইতিমধ্যেই একচালার সাবেক প্রতিমা বসানো হয়ে গিয়েছে। নিয়মানুযায়ী মা সারদার নামেই সংকল্প করে মঠের পুজো করা হবে।
১১৯ বছরের এই পুজোর যাবতীয় আচার, অনুষ্ঠান বোধন থেকেই সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে। প্রতিমা নিরঞ্জন অবধি লাইভ দেখানো হবে। মঠের নিজস্ব ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবে দেখা যাবে ঘরে বসে। www.belurmath.org, belurmath.tv, Ramakrishna Math & Ramakrishna Mission, Belur Math পেজে সরাসরি পুজো দেখা যাবে।
করোনা সংক্রমণের জেরে মঠে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পুজোতেও সেই সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে। এমনকি সংবাদমাধ্যম বিশেষ পাস নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে। তবে দর্শনার্থীদের জন্যে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। পুজোর সময় প্রতি মুহূর্তে মন্দির ও মঠ জীবাণুমুক্ত করার কাজ হবে। মন্দিরের বাইরে যাতে ভিড় না জমে সে কারণে নজর রাখতে বলা হয়েছে পুলিশ কর্মীদের।
ABIR GHOSHAL