#কলকাতা: মাত্রাছাড়া গরমে হাঁসফাঁস মানুষ। দেদার বিকোচ্ছে এসি, কুলার। পরিবেশের ওপর কতটা প্রভাব? অজান্তেই আমার বাড়াচ্ছি গ্লোবাল ওয়ার্মিং? বিকল্প কী?
বছরে ১২ মাসের মধ্যে ৮ মাসই গরমের দাপট। গরমের হাত থেকে বাঁচতে এসি এবং কুলারই ভরসা। গরম পড়তে না পড়তেই এসি এবং কুলার কেনার হিড়িক পড়ে যায়। কিন্তু এসি কিনতে যাওয়ার সময় কী দেখেন আপনি? থ্রি স্টার, ফাইভ স্টার নাকি প্রাইস ট্যাগ? জানেন কি অজান্তেই আপনি ক্ষতি করছেন পরিবেশের? দেখে নিন কীভাবে...
এসি থেকে বেরোয় হাইড্রো ফ্লুরো কার্বন এবং ক্লোরো ফ্লুরো কার্বন
এই গ্যাসগুলি পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর গ্রিন হাউজ গ্যাসের তালিকায় পড়ে
গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর জন্য দায়ী এই গ্রিন হাউজ গ্যাসগুলি
যত দিন যাচ্ছে তত পরিবর্তন ঘটছে আবহাওয়ার। বাড়ছে গরম। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এসি এবং কুলারের চাহিদা। পরিসংখ্যান বলছে, সিইএসসি এলাকায়,
- ২০১৫ সালে ৪৫ হাজার নতুন এসির কানেকশন নেওয়া হয়েছে
- চলতি বছরের মে মাসের মধ্যেই ২০ হাজার নতুন এসির কানেকশন নেওয়া হয়েছে
এক সময় যা ছিল বিলাসিতা, এখন তা মানুষের প্রয়োজন। বাড়ি, গাড়ি, অফিস থেকে দোকান, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ। সর্বত্রই ়বিপুল চাহিদা হয়ে দাঁড়িয়েছে এসি এবং কুলারের। সেই চাহিদাকে পুরণ করতে আর সাধারণের কাছে এসিকে আরও সহজলভ্য করে তুলতে বিপুল ছাড়ও মিলছে। আছে EMI -এর সুবিধেও। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির থেকে ক্রেতার কাছে বেশি প্রাধান্য পায় এসির দাম।
কিন্তু সস্তা প্রযুক্তির এসিতেই ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। এসি বা কুলার কেনার ক্ষেত্রে তাই সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে।
- এসি কেনার সময় এনার্জি এফিসিয়েন্সি সার্টিফিকেট দেখে নিন
- হাইড্রো ফ্লুরো কার্বন এবং ক্লোরো ফ্লুরো কার্বন ফ্রি এসি কিনুন
পরিবেশ বাঁচাতে সোলার এনার্জির এসি ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এসির ঠান্ডা হাওয়ায় আরাম বাড়ুক তার সঙ্গে পরিবেশ সচেতনতাও।