#কলকাতা: বর্ষবরণের রাতে শহরের দুই প্রান্তে দুই রহস্যমৃত্যু। একটি গড়ফায় এবং একটি বেহালার পর্ণশ্রীতে। বন্ধু বাড়িতে পার্টিতে মজেছিলেন। গভীর রাত পর্যন্ত চলেছিল মদ্যপান। এরপর পার্টিতে যোগ দেওয়া এক শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বছরের প্রথম দিনেই। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার গড়ফা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাত'টা নাগাদ বন্ধু রাজু কুণ্ডু (৩৫) এবং আরও এক বন্ধু শুভাগত মণ্ডলের (৩৩) সঙ্গে গড়ফা থানা এলাকার হালতুর বাসিন্দা উজ্জ্বল ঘোষের ফ্ল্যাটে যান। উজ্জ্বল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেন। এ দিন রাতে বছর শেষের উদযাপনের আনন্দে একসঙ্গে থাকার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। সেই মতো গভীর রাত পর্যন্ত খাওয়াদাওয়া করেন তাঁরা। পুলিশি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মৃতের বন্ধুরা জানিয়েছেন, এ দিন রাতে যথেচ্ছ মদ্যপান করেছিলেন তাঁরা। তারপরে খাবার খেয়ে সকলেই শুয়ে পড়েন। তারপরে আর কারও তেমন হুঁশ ছিল না।
এরপর শুক্রবার ভোরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিল সুব্রত। অনেক ডাকাডাকির পরে সাড়া পাওয়া না গেলে তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ সূত্রে জা গিয়েছে, সুব্রত পেশায় শিক্ষক। তাঁর বাড়ি নদিয়া জেলার ধানতলায়। দেহ ইতিমধ্যেই ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে দেশে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। ফলে কীভাবে সুব্রতর মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান, অত্যধিক মদ্যপানের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন সুব্রত। তবে, ময়না অদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আসল কারণ স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে, বর্ষবরণের রাতে পর্ণশ্রী থানা এলাকার পরুই দাস পাড়া রোডে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুর বাড়ির ছাদে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে হই-হুল্লোর করছিল অপু মল্লিক (৩৫)। সবাই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। হঠাৎই তাদের মধ্যে অপু মল্লিক আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ছাদের ধারে বমি করতে যায় এবং তখনই বেসামাল হয়ে ওই বাড়ির এক তলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়। এই ঘটনাটি ঘটে রাত আড়াইটে নাগাদ। সঙ্গে সঙ্গে তাকে তার বন্ধুরা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং চিকিৎসকরা তাকে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করে।