#কলকাতা: মার্চ পেরিয়ে জুলাই। করোনায় ফের গৃহবন্দী মানুষ। উদ্বেগ থাকলেও মানুষ এখন অনেক প্রত্যয়ী। উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে কলকাতায় কন্টেইনমেন্ট জোন ২৫ টি। তার মধ্যে অন্যতম উল্টোডাঙার ১৩ নং ওয়ার্ডের বেশ কিছু অঞ্চল। করবাগান, তেলেঙ্গাবাগান, আরিফ রোড বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে 'আনলক' থেকে 'লক'। রাস্তায় পুলিশের ব্যারিকেড। সর্বক্ষণ পুলিশের কড়া নজরদারি। ভিতরের মানুষের বাইরে আসা নিষেধ আবার বাইরে থেকে ভিতরে যাওয়াও বন্ধ।
১৩ নং ওয়ার্ডে গত দুই সপ্তাহে ৫০ জনেরও বেশি করোনায় আক্রান্ত। তাই এলাকাকে বিচ্ছিন্ন করে সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙার চেষ্টা। এই সময়ে অবশ্য গৃহবন্দী মানুষের পাশে এলাকারই বাসিন্দারা। ৮ টি মোবাইল নাম্বার-সহ পোস্টার পড়েছে কন্টেইনমেন্ট জোনের আনাচে কানাচে। যে কোনও পরিষেবা ফোন মারফত অনুরোধে এলেই পরিষেবা পৌঁছে যাচ্ছে। প্রাক্তন হয়ে গেলেও পুরপিতা হিসেবেই নাগরিকদের পাশে সর্বক্ষণ কাজ করে চলেছেন অনিন্দ্য কিশোর রাউত। বাইক নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন মানুষের পাশে যে কোনও দরকারে।
১/২ আরিফ রোডের আবাসনে ২ বাড়িতে করোনা আক্রান্ত। স্বাভাবিক কারণেই কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭ টা পেরতেই গৃহবন্দী মানুষ যেন আতঙ্কের মেঘ কাটিয়ে রৌদ্রের ছটার আভাস পেলেন। ৩ নং বরো কো-অর্ডিনেটর অনিন্দ্য কিশোর রাউত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের প্যাকেট হাতে কন্টেইনমেন্ট জোনের দোরগোড়াতেই হাজির। শুধু করেনা আক্রান্ত ফ্ল্যাটেই নয়, সমস্ত ফ্ল্যাটে পৌঁছে দিলেন প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। আটা, ডাল, চাউমিন, নুডলস, বিস্কুট, চানাচুর-সহ নানা সামগ্রী তুলে দিলেন। সঙ্গে জানাতে ভুললেন না, '' কয়েকদিনের দিলাম এরপর আবার আসবো সামগ্রী নিয়ে।'' করোনা আক্রান্ত না হয়ে কন্টেইনমেন্ট জোনে থেকে এমন পরিষেবায় মুগ্ধ মায়া মাইতি ও তাঁর ছেলে। তাঁরা জানাচ্ছেন, " নিজেদের বড্ড একঘরে লাগছিল। অনিন্দ্যবাবু ও পাড়ার ছেলেদের এমন ব্যবহারে করোনার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াইয়ে সাহস পাচ্ছি।" বোর্ড কো-অর্ডিনেটর অনিন্দ্য কিশোর রাউত জানাচ্ছেন, " বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুশি।"
ARNAB HAZRA