#কলকাতা: ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে মাওবাদীদের কাছে অস্ত্র পাচার চক্রের হদিশ মিলেছে আগেই। কীভাবে অস্ত্র বাইরে পাচার হত, তাঁর হদিশ পেতেই পুনর্নির্মাণ করলেন এসটিএফের তদন্তকারীরা। আজ রাইফেল ফ্যাক্টরির ধৃত এক ঠিকাকর্মীকে ইছাপুরে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়।
রবিবার রাতে বাবুঘাট চত্বর থেকে ৬ জনকে গ্রেফতারের পরই খাস কলকাতার বুকে বড়সড় অস্ত্র পাচার চক্রের পর্দাফাঁস হয়। ধৃতদের মধ্যে ২ জন আবার রাইফেল ফ্যাক্টরির আধিকারিক। জেরায় এসটিএফের আধিকারিকরা জানতে পারেন, সরকারি অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র চলে যেত বিহার ও নেপালের মাওবাদীদের কাছে। কীভাবে চলত অস্ত্র পাচার? এই কাজে আর কারা জড়িত? জানতে মঙ্গলবার দুপুরে রাইফেল ফ্যাক্টরির ঠিকাকর্মী উমেশ রাইকে ইছাপুরে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। পুলিশকে উমেশ দেখায়, ফ্যাক্টরির গঙ্গার পাশে থাকা জঙ্গলের এক জায়গায় বাতিল যন্ত্রাংশের সঙ্গে অস্ত্র বস্তায় ভরে লুকিয়ে রাখা হত। এরপর সময়, সুযোগ বুঝে সেগুলি পাঁচিলের বাইরে ফেলা হত। সেখানে থেকে বস্তা সংগ্রহ করত পাচার চক্রের সহযোগীরা। এরপর তা পাঠানো হত বিহারে, অস্ত্র-চক্রের অন্যতম চাঁই অজয় পাণ্ডের কাছে। সেখানেই অংশ জুড়ে তৈরি হত অস্ত্র। পাঠানো হত বিহার এবং নেপালে মাওবাদীদের কাছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Arms Factory, Arms Smuggling, Two Officials