#কলকাতা: সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে ১০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে ধৃত আরও ২ ৷ সরকারি ও বিদেশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতারণা চক্রের হদিশ পেল বিধাননগর পুলিশ। চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন রাজ্য থেকে দশ কোটি টাকারও বেশি প্রতারণার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। উদ্ধার টাকা, ভুয়ো নিয়োগ পত্র,পড়ুয়াদের নাম ভরতি একটি রেজিস্টার।
এদিন সেই অভিযোগে এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার করা হয় শিবব্রত অধিকারীকে ও হাবড়া থেকে গ্রেফতার শেখ মণিরুল ৷ প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডা ছিল শিবব্রত ও মণিরুল ৷ গতকাল ৪ জনকে গ্রেফতার করে সাইবার থানা ৷ প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার মোট ৬ জন ৷
চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। বিদেশে যাওয়ার সুযোগ। লোভ সামলাতে পারেননি প্রায় ১৬০ জন বেকার যুবক-যুবতী। চাকরিপ্রার্থীদের এই বিশ্বাসের সুযোগ কাজে লাগিয়েই কাজ হাসিল করত প্রতারকরা। টার্গেট গ্রুপ ছিল উচ্চ-মাধ্যমিক, সদ্য গ্র্যাজুয়েশন শেষ করা পড়ুয়ারা। তদন্তে নেমে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
- প্রতারণা চক্রের টার্গেট থাকত বিভিন্ন সরকারি দফতর, হাসপাতাল
- দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করত প্রতারকরা
- তাঁদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন চাকরীপ্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ
- চাকরীপ্রার্থীদের বিশ্বাস অর্জন করে ভিনরাজ্যে নিজেদের অফিসে ডাকত
- বিভিন্ন জায়গায় চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া
- শেষে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে চেম্বার বন্ধ করে পালিয়ে যাওয়া
১০ই মে লেকটাউন থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন কর্ণাটকের বাসিন্দা বিজয় দানেশ্বর। সেই তদন্তে নেমে এই প্রতারণা চক্রের হদিশ পায় বিধাননগর পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে লেকটাউনের একটি হোটেল থেকে এক মহিলা সহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা সবাই ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
তল্লাশিতে উদ্ধার
- ২০টি মোবাইল, ৯ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা
- ২টি ভুয়ো নিয়োগপত্র, বিভিন্ন নথি
- ৩৯ পাতার একটি রেজিস্টার
রেজিস্টার থেকে বিভিন্ন রাজ্যের যুবক-যুবতীদের নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর পেয়েছে পুলিশ। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে কোনও সরকারি কর্মী জড়িত কিনা তারও খোঁজ চালানো হচ্ছে।