কলকাতা: রাজ্য জুড়ে ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসের আতঙ্ক। এর মধ্যে ফের সোমবার ভোরে মৃত্যু হল এক শিশুর। যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুর মৃত্যু হয়েছে নিউমোনিয়াতে। চন্দননগরের আট মাসের বাসিন্দা সে। প্রবল জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কিছুদিন আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছিল ওই শিশুকে। আজ ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ওই শিশু অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কি না, তার জন্য ইতিমধ্যেই রিপোর্ট নাইসেডে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে বিসি রায় হাসপাতালেও সোমবার সকালে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে তারও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল। তবে তার মৃত্যু অ্যাডিনো ভাইরাসে নয় বলেই হাসপাতাল সূত্রের খবর।
অন্য দিকে রাজ্যে যখন একের পর এক মৃত্যুর খবর তখন তড়িঘড়ি করে বৈঠকে বসল স্বাস্থ্যভবনে। অ্যাডিনো ভাইরাস রুখতে আরও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ দিন স্বাস্থ্যদফতরের একটি দল বিসি রায় হাসপাতালে যায়। সেখানে গিয়ে ওখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আসেন তাঁরা। স্বাস্থ্যভবনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সব হাসপাতালগুলিতে বেড বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জিতে গেল রাম-বাম 'জোট', ধরাশায়ী তৃণমূল! পূর্ব মেদিনীপুরে ফের সেই নন্দকুমার মডেল
আরও পড়ুন: ভারতেই রয়েছে এমন এক নদী, যার জল ছুঁতেও ভয় পায় মানুষ! কোথায় সেই নদী, কী সেই ঘটনা?
সূত্রের খবর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ইতিমধ্যে ২০ সিসিইউ বেড ভর্তি রয়েছে শিশুতে। যার মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ২ জন শিশু অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে বিসি রায় হাসপাতালে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে একটি শিশুর। সোমবার সকালে মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে আরেকটি শিশুর। এর পাশাপাশি সোমবার বেলায় বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও একটি শিশুর। যদিও এদের কারওর শরীরেই অ্যাডিনো ভাইরাস পাওয়া যায়নি। এই সকলেরই মৃত্যু হয়েছে নিউমোনিয়ায়। তবে প্রত্যেকেরই জ্বর এবং প্রবল শ্বাসজনিত সমস্যা ছিল। চিকিৎসকদের পক্ষ বর্তমানে শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাঁচ বছরের ঊর্দ্ধের সকল শিশুদের ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহারের কথাও বলা হচ্ছে। প্রতি বছরের তুলনায় এই বছরে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ অনেকটাই বেশি। তাই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Adenovirus