আবীর ঘোষাল, কলকাতা: স্কুলে মিড ডে মিল পরিদর্শনে এসেছে কেন্দ্রীয় দল ৷ তারই মধ্যে উত্তর ২৪ পরগণার এক স্কুলে ৫ জনের বেতন সাত জনের মধ্যে ভাগ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সেই প্রসঙ্গে বিধায়ক মদন মিত্রের মন্তব্যে অস্বস্তিতে শাসক দল। কামারহাটির বিধায়ক বলেছেন, ‘‘কুন্তী বলেছিলেন, যা এনেছ, ৫ ভাইয়ের মধ্যে ভাগ করে খাও। পশ্চিমবঙ্গ, ভারতের সংস্কৃতি হচ্ছে, স্ত্রীকেও পাঁচ স্বামী ভাগ করে খেতে পারেন।’’
‘ভাগ করে খাও’ মন্তব্যের পর মদনের সংযুক্তি, ‘‘নীতিগত ভাবে আমি বলব, কেন পাঁচ জনের খাবার সাত জন খাবেন? খাবার ভাগ করতে রাজি রয়েছি কী না, আমাকে কেউ প্রশ্ন করলে বলব, পুরোটাই ভাগ করে খেতে রাজি। কারণ, ভাগ করে খাওয়ার মধ্যে আনন্দ রয়েছে।’’
আরও পড়ুন- ‘বিশ্বভারতীর উপাচার্য ক্ষেপেছেন এটাও তো সঠিক...’ মন্তব্য অমর্ত্য সেনের
আবাস যোজনার পর মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাংলায় এসেছে কেন্দ্রীয় দল। স্কুলে স্কুলে পরিদর্শন চলছে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার একটি স্কুলে মিড ডে মিল পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা ৫ জনের বেতন ৭ জন ভাগ করে নিচ্ছেন বলে নজরে পড়েছে কেন্দ্রীয় দলের। শুরু হয় বিতর্ক। এ নিয়ে বলতে গিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী টানেন কুন্তী-প্রসঙ্গ। যদিও দলীয় বিধায়কের এই কথায় সমর্থন নেই দলের ৷
আরও পড়ুন- প্রয়াত ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার পরিমল দে
বিরোধীদের পাশাপাশি, দলের তরফেও এই কথার সমালোচনা করা হয়েছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘মিড ডে মিল সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মদন মিত্র যা বলেছেন তার তীব্র নিন্দা করছি। শব্দচয়ন ও বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে সকলেরই অনেক বেশি দায়িত্বশীল ও সতর্ক হওয়া উচিত। মহাকাব্যের বিভ্রান্তিকর তালজ্ঞানহীন ব্যাখ্যামুলক তুলনা কাম্য নয়।’’
দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যে গোটা বিষয়টি ভাল চোখে দেখছে না, তা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও মদন মিত্রের একাধিক মন্তব্য ঘিরে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে ৷ জনপ্রতিনিধি হোক বা সাংগঠনিক নেতা তাদের বিভিন্ন কটূ মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে বলছে দল। তার পরেও বিধায়কের এই মন্তব্য অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসক দলের।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Madan Mitra, TMC, Trinamool Congress