কলকাতা: ভোটে দাঁড়াননি। কিন্তু রাজ্যে বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী (Ex Finace Minister) কেই বর্তমানে ফিরিয়ে এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কঠিন অর্থ দফতরের দায়িত্ব সামলাতে তাঁর ভরসা সেই অমিত মিত্রেই (Amit Mitra)। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সশরীরে বিধানসভায় শপথ না নিলেও ভার্চুয়ালি শপথ নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অমিত। আর দায়িত্ব নিয়েই কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতে নতুন মোড় আনলেন অমিত মিত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেরকম প্রায় প্রতিদিন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)-কে চিঠি লিখে চলেছেন, সেই একই পথ নিলেন তাঁর অর্থমন্ত্রীও। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে (Nirmala Sitharaman) চিঠি লিখলেন অমিত মিত্র। চিঠিতে নির্মলাকে অবিলম্বে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকতে অনুরোধ করেছেন অমিত।
চিঠিতে অমিত লিখেছেন, শেষবার ২০২০ সালের অক্টোবরে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হয়েছিল অতিমারীর মধ্যেই। কিন্তু গত ছ’মাসে এই বৈঠক করেনি কেন্দ্র। এমনকী ভারচুয়াল বৈঠকও নয়। এর ফলে লঙ্ঘিত হয়েছে সংবিধান। তাই অবিলম্বে এই বৈঠক ডাকার আবেদন জানিয়েছেন অমিত মিত্র।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের ২৭৯এ অনুচ্ছেদ মেনে গঠিত হয় জিএসটি কাউন্সিল। আর সাংবিধানিক নিয়মেই বছরে চারবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা। কিন্তু শেষ ছমাসে একবারও সেই বৈঠক হয়নি। চিঠিতে বাংলার অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, ভবিষ্যতে এই বৈঠক নিয়মিত ডাকা হোক। নাহলে সেই প্রভাব কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্পর্কেও পড়তে পারে। তাই অতিমারীর মধ্যেও ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকার আবেদন করেছেন অমিত মিত্র।
তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে রাজ্যের বকেয়া মেটাতে বারবার যে কেন্দ্রের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদ্বির করবেন, তার আভাস আগেই মিলেছিল। আর মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয় বার শপথ নেওয়া ইস্তক বারবার নানা ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদির কাছে রাজ্যের হয়ে দাবি জানাচ্ছেন তিনি। এদিন অমিত মিত্রই রাজ্যের বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। চিঠিতে বাংলার অর্থমন্ত্রীর সংযোজন, রাজ্যগুলির প্রাপ্য জিএসটির ক্ষতিপূরণ খাতে ঘাটতি বর্তমান অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২১-২২ সালে ১.৫৬ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। আর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সেই অঙ্ক যে আরও বেড়েছে, তার উল্লেখ করে দিয়েছেন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।