#কলকাতা: সাংবাদিক বৈঠক করে বিমল গুরুং জানিয়েছেন, তিনি বিজেপির ওপর আস্থা হারিয়েছেন। এনডিএ–এ থেকে বেরিয়ে আসার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। পাশাপাশি বলেছেন, ২০২১ নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের সঙ্গে লড়বেন। আর সেই অবস্থানকেই এবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাল তৃণমূল। তৃণমূলের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে বলা হয়েছে, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আস্থা রেখে বিমল গুরুং যেভাবে এনডিএ–এর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন ও শান্তি ও উন্নয়নের প্রতি আস্থা রেখেছেন, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। আমরা মনে করি, পাহাড়ের সমস্ত রাজনৈতিক দল, জিটিএ ও সাধারণ মানুষ হাতে হাতে মিলিয়ে শান্তি ও সংহতির পথে মাতৃভূমির হয়ে কাজ করবে।’
We welcome Bimal Gurung’s commitment to peace & decision to withdraw support from NDA while reposing faith in @MamataOfficial's leadership. BJP's attempts to use Gorkhaland issue for petty politics & their untrustworthy nature now lay fully exposed before people of Bengal. (1/2)
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) October 21, 2020
এদিন এক ঝটকায় বদলে যায় পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ। প্রায় ৩ বছর ধরে পুলিশের খাতায় ফেরারের তালিকায় নাম বিমল গুরুংয়ের৷ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে বিমল গুরুংকে আর দেখা যায়নি ৷ অবশেষে ২০২০ সালের পঞ্চমীর সন্ধ্যায় সল্টলেকের গোর্খা ভবনের সামনে আচমকাই উদয় মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙের ৷ দুপুরেই শোনা গিয়েছিল তার ঘোষণা, সাংবাদিক সম্মেলন করতে চান মোর্চা সুপ্রিমো৷ তারপর সাংবাদিক বৈঠক করে পাহাড়ের নেতা বিমল গুরুং এদিন চমকে দেন। তিনি বলেন,‘প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি মোদি-শাহ ৷ গোর্খাল্যান্ডের জন্য কিছু করেনি বিজেপি ৷এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম ৷’ এখানেই শেষ নয়, আরও এক পা এগিয়ে গুরুং এও বলেন, ‘২০২১-এ তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ব ৷ মমতাকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাই ৷’
We're confident that all the key stakeholders in hills, including political parties & GTA along with civil society will work together & join hands with us for the peace & prosperity of our motherland. (2/2)
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) October 21, 2020
গুরুং গা ঢাকা দেওয়ার পর থেকেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়ে গিয়েছিল বলে খবর ৷ অজ্ঞাতবাসের এই সময়ে কখনও দিল্লিতে, কখনও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান, প্রকাশ্যে হাতে গোনা এই কয়েকবার দেখা গিয়েছে বিমল গুরুংকে ৷ অন্যদিকে, লোকসভা ভোটের পর থেকে উত্তরবঙ্গে শক্তি বেড়েছে বিজেপির। ২০১৯ সালে গুরুঙের বাছাই রাজু বিস্তাই হন বিজেপি প্রার্থী। সেই গুরুঙেরই বিজেপির হাত ছেড়ে ২১-এর ভোটের আগে শিবির বদলের ঘোষণায় পাহাড়ের রাজনীতিতে বড়সড় ট্যুইস্ট ৷ উল্লেখ্য, বিমল গুরুং ফেরার হওয়ার পরেই গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যায় ৷ তৃণমূল সরকারের সঙ্গে বৈরিতা ত্যাগ করায় গোর্খাল্যান্ড টেরিটরিয়াল অ্যাডমনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-র প্রধানের দায়িত্ব পান বিনয় তামাং। এমতাবস্থায় তিন বছর পর আচমকা ফেরার গুরুংয়ের আগমনে নতুন করে চমক রাজ্য রাজনীতিতে ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bimal gurung