#কলকাতা: বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে বারবার নিশানা করছে বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টেও এ বিষয়ে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। এমনকী জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের থেকে এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। যদিও ভোট পরবর্তী হিংসা সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাজানো বলে অভিযোগ করেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে এবার ত্রিপুরাকে সামনে রেখে বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটল এ রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, 'ত্রিপুরাতে অটোনমাস কাউন্সিলের ভোট হয়। বিজেপি সেখানে খারাপ ফল করে৷ নতুন দল ভালো ফল করে। তারপর থেকে তাদের উপর অত্যাচার হয়। সেখানে কোথায় গেল কমিশন? না কোনও সংস্থা তদন্ত করছে।'
সুখেন্দু শেখরের সংযোজন, 'আমরা ত্রিপুরার ঘটনার নিন্দা করছি। যে সব রাজ্যে বিজেপি শাসন ক্ষমতায় আছে সেখানে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি? শীতলকুচিতেও নিরীহ মানুষদের খুন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরাজুড়ে সিপিএম কর্মীদের ব্যাপক মারধর করছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ ত্রিপুরার বাম কর্মীদের। সম্প্রতি তেলিয়ামুড়া অঞ্চলে ৫ দফা দাবি নিয়ে থানায় ডেপুটেশন জমা দিতে গেলে প্রকাশ্যেই সিপিএম কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়, তারপর থেকেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। জনস্বার্থে গোটা ত্রিপুরা জুড়েই প্রতিবাদ কর্মসূচি চালাচ্ছে বামেরা। সিপিএমের গণসংগঠন ত্রিপুরা ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের ডাকে ৫ দফা দাবি নিয়ে তেলিয়ামুড়া মহাকুমার থানায় যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সেই সময়েই সিপিআইএম তেলিয়ামুড়া মহাকুমার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অজয় ঘোষ সহ ১২ জনের উপর আক্রমণ হয়। অভিযোগ, চোখের সামনে এই ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট যত এগোচ্ছে, ততই রাজনৈতিক হিংসার পরিমাণও বাড়ছে। অনেকের মতে, এই হিংসার পিছনে অন্য মনস্তত্ত্ব রয়েছে। আসলে ঘুন ধরেছে বিপ্লব দেব প্রশাসনে। এই অবস্থায় প্রবল প্রতিপক্ষ সিপিএম-এর আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে বিজেপির নিচুতলার কর্মীরা। এবার তাঁদের নিশানায় থাকা ত্রিপুরা নিয়েও আসরে নামল তৃণমূল। বিজেপি শাসিত রাজ্য বলেই ত্রিপুরা নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের কোনও পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ এ রাজ্যের শাসক দলের।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।