#কলকাতা: বিজেপির কারণে কলুষিত রাজনীতি ৷ সংবিধান অনুমোদিত ও প্রতিষ্ঠিত সমস্ত গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো ধ্বংস করে দিতে চাইছে বিজেপি ৷ গোটা দেশ জুড়েই এক দলেরই আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা করছে বিজেপি ৷ সাংবাদিক সম্মেলনে এই ভাষাতেই বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ৷
তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে এদিন বক্তব্য রাখেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ৷ শুরুতেই তিনি বলেন, ‘আমরা সমালোচনা না করে ইতিবাচক বার্তা দিতে চাই ৷ দেশে এখন যা পরিস্থিতি, তা চিন্তার ৷ রাজনীতির মান এত নীচে নামতে আগে দেখিনি ৷ বিজেপি নেতৃত্ব কেন্দ্র এবং রাজ্যে এক সরকার চায়। কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশে দলত্যাগ করিয়ে সরকার ফেলা হয়েছে। যেটা অন্য রাজ্যে হয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গে হবে না। সুপ্রিম কোর্ট, রাজ্যপাল, সিবিআইয়ের মতো সমস্ত সাংবিধান প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলছে বিজেপির সরকার ৷ রাজভবন নামে প্রতিষ্ঠানকেও নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। রাজ্যপালের পদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে ৷ কেন্দ্রের শাসকদলের হয়ে কাজ করছেন রাজ্যপাল ৷ দেশের মানুষ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান ৷ ’
কেন্দ্রের নিয়ম নীতি নিয়ে আক্রমণ শানান সৌগত রায় ৷ বিভাজনের ফর্মুলায় ভোট কাড়ার চেষ্টাকেও তুলোধোনা করেন তিনি ৷ বলেন, পরিযায়ীদের জন্য যথার্থ ব্যবস্থা করেনি কেন্দ্র ৷ নয়া কৃষি আইনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ৷ কৃষকদের রোজগার বাড়ার প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ কেন্দ্র ৷ কৃষি আইন কৃষক স্বার্থ বিরোধী, ক্ষতি করছে চাষীদের। বিরোধিতা সত্ত্বেও ভোটাভুটি করে কৃষি আইন পাশ। কেন্দ্রের জনবিরোধী, শ্রমিকবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হব ৷ এ রাজ্যেও ভোটকে মাথায় রেখে বিভাজনের শক্তিকে উৎসাহ দিচ্ছে বিজেপি ৷’ একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দেশের সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগও করেন তৃণমূল সাংসদ ৷ বলেন, ৬টি বিমানবন্দর বিক্রি করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিক্রির তালিকায় রয়েছে আরও অনেক ৷
টার্গেট ২১, ভোট ময়দানে বেড়েই চলেছে উত্তেজনা ৷ বাংলা জয়ের জন্য যেভাবে গেরুয়া শিবির নিজেদের সর্বভারতীয় টিমকে মাঠে নামিয়েছে তা নিয়ে কটাক্ষ সৌগতর ৷ বিশেষভাবে আক্রমণের নিশানায় ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেল হেড অমিত মালব্য ৷ এদিন তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘একুশের নির্বাচন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ৷ মমতাই সব ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে এক করতে পারে৷ রাজ্য বিজেপির অন্তর্কলহে ক্লান্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৷ মমতার সমান্তরাল মুখই ঠিক করতে পারেনি বিজেপি ৷ তাই বাইরে থেকে এরাজ্যে পর্যবেক্ষক আমদানি করতে হচ্ছে ৷ পশ্চিমবঙ্গের ভোট দেখতে নিয়োগ করা হয়েছে দুই প্রধান পর্যবেক্ষক ৷ এদের মধ্যে একজন আবার বিজেপির প্রাক্তন আইটি সেল হেড ৷ ফেক নিউজ, বিভাজনমূলক খবর ছড়িয়ে দেওয়াতে তিনি বিশেষ দক্ষ ৷ এখানেই শেষ নয় এছাড়াও রয়েছে অঞ্চল ভিত্তিক চার পর্যবেক্ষক, যারা আসলে এক একজন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা ৷’ সব মিলিয়ে তৃণমূল-বিজেপির অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি ৷