#হাবড়া: রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় এক সভায় রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করলেন, বিজেপি মতুয়াদের ঠকিয়েছে। তাঁর দাবি, শান্তনু ঠাকুরও নিজেও সেটা বুঝতে পারছেন।
এ দিনের সভায় ব্রাত্য বসু বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের সম্মান করেন। তাই শান্তনু ঠাকুরের বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর আমাদের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হয়ে ছিলেন। বড় ছেলের পাল্লায় পড়ে তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন।"
প্রসঙ্গত সেই সময় বনগাঁ লোকসভার উপনির্বাচনে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের বড় ছেলে সুব্রত ঠাকুর বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়েন।সদ্য প্রায়ত সাংসদ কপিল কৃষ্ণ ঠাকুরের স্ত্রী মমতা ঠাকুর কে টিকিট দিয়ে তৃনমুল। একই পরিবারের দুজন প্রার্থীর মধ্যে মমতা ঠাকুর জয়ী হয় বনগাঁয়।এরপর গত লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসেন ঠাকুর বাড়ীতে মতুয়া ধর্মের সম্মেলনে। সেই সভা প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে সমস্যার সমাধান করবেন তারা।
এরই মাঝে সিএএ আসে পার্লামেন্টে।নতুন আইনে নাগরিকত্বের সমাধানে আশা বুক বাঁধে মতুয়ারা।দীর্ঘ সময় পাড় হওয়ার পরও কেন সিএএ লাগু হল না তা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন মতুয়া মহা সংঘের সভাপতি শান্তনু ঠাকুর। তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে নানান আলোচনা চলছে।
আগামী ৩০শে জানুয়ারি ঠাকুর নগর আসছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।সেখানে সিএএ লাগুর বিষয় পরিষ্কার করে জানবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এরই মাঝে ক্ষুব্ধ সাংসদকে বিজেপি থেকে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তৃনমূলে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
আজ খাদ্যমন্ত্রীর বিধানসভা থেকেই ব্রাত্য বসু বলেন, "বিজেপি তাঁকে মন্ত্রী করেনি। তাই মাঝেমধ্যে শান্তনু তাঁর ক্ষোভের কথা বলে ফেলছেন। ব্রাত্যর আরও সংযোজন, 'বিজেপি মতুয়াদের নাগরিকত্বের কথা বলছেন।"
ব্রাত্যর সংযোজন মতুয়াদের বিজেপি কখনই ভালোবাসে না। অযোধ্যার রামমন্দিরে ১৫টা দেবতার মূর্তি আছে দাবি ব্রাত্য বসুর। তাঁর বনগাঁর সাংসদকে চ্যালেঞ্জ, "শান্তনু ঠাকুর অযোধ্যার রাম মন্দিরে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মূর্তি বসান তো দেখি। উনি পারবেন না। কারণ বিজেপি তা করতেই দেবে না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের ভালোবাসেন। তাই হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছেন।'