#কলকাতা: সম্ভবত বুধবারই সামনে আসতে পারে তৃণমূলের ইস্তেহার। অতীতেই নিউজ১৮ বাংলা জানিয়েছিল এই ইস্তেহারে দুয়ারে রেশনের মতো অভিনব প্রকল্পের আশ্বাস থাকতে পারে। তবে এখানেই নির্বাচনের আগে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অস্ত্রেই শান দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, তৃণমূল নজর দিচ্ছে পিছিয়ে পড়া জনজাতির উপর।
দীর্ঘদিন ধরেই তিলি, সাহা, মাহিষ্য, তামূল সম্প্রদায়ভুক্তরা অনগ্রসর জনজাতিভুক্ত হতে চাইছেন। তৃণমূলের ইস্তেহারে এই চার জনজাতির জন্যই এবার প্রতিশ্রুতি থাকবে। এক কথায় বললে, তাদের পিছিয়ে পড়া জনজাতির স্বীকৃতি দেওযা হবে । পাশাপাশি ইস্তেহারে আরও বেশি ওবিসি শংসাপত্র দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি থাকবে।
কেন এই সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পূর্ব মেদিনীপুর এই ভোট কুরুক্ষেত্রের এপিসেন্টার। সেখানে এই চার সম্প্রদায়ের প্রাধান্য রয়েছে। ফলে সেখানে এই প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের পালে হাওয়া দেবে। পাশাপাশি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ৩১টি আসনে ফলের ধারাবাহিতা রাখতেও এই অস্ত্রে শান দিচ্ছে বিজেপি। নজর থাকছে হুগলিও। এক কথায় বললে ভোটযুদ্ধে অ-ব্রাক্ষ্ণণ হিন্দু ভোটকে আরও সংগঠিত করতেই এই মাস্টারস্ট্রোক দিতে চাইছে তৃণমূল। সেই কারণেই বাড়ানো হচ্ছে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ছাতাটির পরিসর।
উল্লেখ্য মণ্ডল কমিশনের সুপারিশে ১৭৭টি সম্প্রদায়ের মধ্যে এই চার সম্প্রদায়ের নামও রয়েছে। বলাই বাহুল্য তাঁরা নতুন করে এই বর্গে এলে শিক্ষা থেকে চাকরি সব ক্ষেত্রেই সুবিধে বাড়বে এই সম্প্রদায়ভুক্তদের। আর এই প্রতিশ্রুতি ভোটের মুখে তাদের ডিভিডেন্ট বলেই মনে করা হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশ বা বিহারে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রাজনীতির মহিমা গোটা দেশই জানে। রাজনৈতিক বেত্তারা বলেন এ বঙ্গে বামেরা শ্রেণির রাজনীতি করেছে ঠিকই, কিন্তু বর্ণের রাজনীতিতে ততটা নজর দেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মসনদে বসেই ঠাকুরনগর যাতায়াত শুরু করেন। ক্রমেই তাঁর সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডানা মেলতে থাকে। ক্ষমতায় এসে পিছিয়ে পড়া জনজাতির মনজয়ে শংসাপত্র দেওয়া থেকে মুখ্য উন্নয়নমূলক প্রকল্প ঘোষণা কিছুই বাদ দেননি তিনি। এবার সেই পরিসরটাকে আরও বড় করেই ট্রাম্পকার্ড ফেলতে চাইছেন তিনি। এখন দেখার কতটা জনগ্রাহ্য হয় চাণক্যের আস্তিনের এই তুরুপের তাস।
-কমলিকা সেনগুপ্ত