#কলকাতা: এবার বেসুরো হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগে শিলমোহর দিয়ে পরিষ্কার বললেন, হাওড়ায় তৃণমূলের ছন্দপতন হয়েছে। তিনি কাজ করতে পারছেন না। তা হলে কি এবার পা বাড়িয়ে তিনিও? রথীনের ইঙ্গিত,আগামী দিনে মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।
কিন্তু কোথায় সমস্যা? কে বাধা দিচ্ছে কাজে? নিউজ ১৮ বাংলার সামনে অকপট রথীন বললেন, "নেতৃত্বের অভার রয়েছে। চরম অসহযোগিতার আবহ রয়েছে। যাঁদের কাজ নেই তাঁরাই এসব কাজ করে।"
হাওড়া জেলা নিয়ে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব আর লুকনো থাকছে না। বৈশালী ডালমিয়া, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা বারংবার বলেছেন, প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। সেই সুরেই এ দিন একের পর এক ক্ষোভের কথা জানান দিচ্ছিলেন রথীন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, জেলার নেতৃত্বের যে সমস্যা তা রাজ্যনেতৃত্ব মেটাতে পারছে না। রথীনের ক্ষোভ, ব্যস্ততার অজুহাতে উচ্চতর নেতৃত্বরা তাঁদের কথা শুনছে না। রথীন চান, নতুন গড়ে হাওড়া গড়ে উঠুক।
রথীনবাবু উন্নয়ন বানে বিঁধলেন নিজের দলকেই। তাঁর কথায়, হাওড়ার মানুষ কাজের পক্ষে। হাওড়া বঞ্চিত। তাঁর অভিযোগ, হাওড়ায় একটা নতুন স্কুলও হয়নি। নিজেকে রীতিমতো ব্রাত্যই মনে করছেন রথীনবাবু। এদিন ক্যামেরার সামনে বলছিলেন," আমাকে ব্রাত্য করে দেওয়া হয়েছে। জলপ্রকল্পের সব কাজ করেছি। অথচ সেখানে ডাকেনি। আমাদের উপস্থিতিকেও ওঁরা অপবিত্র ভেবেছে।" কথায় কথায় রথীনের গলায় ঝড়ল অভিমান, "আসামীর কথা শোনা হয় আমাদের কথা শোনা হয় না।"
তাহলে কি চললেন তিনিও? রথীনের সংক্ষিপ্ত জবাব, যত মত তত পথ।